বিএনপিকর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে মামলটি করেছেন মগবাজারের বাসিন্দা হাসান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- আসাদুজ্জামান খান কামাল, তারানা হালিম, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, দিলীপ বড়ুয়া, হারুন অর রশীদ, মোহাম্মদ আব্দুল রশীদ, আসআদ বিন আব্দুল কাদির, হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ মাসুদ রানা ও আমির শেখ ভান্ডারি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন হাসান মাহমুদ। আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
২০১৯ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কমিশনার পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মাহমুদ। এজন্য মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারও শুরু করেন তিনি।
মামলায় বলা হয়েছে, এজাহারভুক্ত আসামিদের মদদে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে প্রচার না চালানোর হুমকি দেয়। ২০২২ সালের ২৫ জুন সন্ধ্যায় রামপুরা ব্রিজ থেকে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায় তারা। তাকে ২৯ জুন হাতিরঝিলে নিয়ে আরেক দফা মারধর করে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
এরপর ওই বছরের ২৬ জুলাই হাতিরঝিল থানা পুলিশ হাসান মাহমুদকে তার মগবাজারের বাসা থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে পাঠায় বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।