দেশের অন্যান্য অংশের মতো হাইকোর্ট বিভাগও ঢেলে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পরিবর্তন শুরু হয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব পদগুলোতে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন পদত্যাগ করার পর সেই দায়িত্ব পান বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান।
শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বিচার বিভাগেও দলীয়করনের অভিযোগ ছিল। তাতে সুপ্রিম কোর্ট স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতো না বলে সমালোচনাও ছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছরে সুপ্রিম কোর্টসহ অনেক জায়গার বিচারপতি শপথ অনুযায়ী বিচার করেননি। তারা রাজনীতি করেছেন। রিমান্ড দিয়েছেন, সাজা দিয়েছেন।
এমন সমালোচনার মুখে হাইকোর্ট বিভাগ ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন মনে করেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, “অবশ্যই মনে করি। যে কারণে জনরোষ তৈরি হয়েছে, হাইকোর্ট বিভাগে তা কেন হবে না?” যদিও কীভাবে, কতটা পরিবর্তন প্রয়োজন, সে ব্যাখ্যা তিনি করেননি।
এসময় তিনি বলেন, “হাইকোর্টে কোনও হস্তক্ষেপ হবে এটা আমি চিন্তা করি না। কেউ সিন্ডিকেট করে থাকলে আমাদের জানাবেন। জানা মাত্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, “আশা করি মাননীয় প্রধান বিচারপতি অতিদ্রুত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গাটিকে উন্নত করবেন।”
অনেক ডেপুটি, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন অনেক ঘরে তালা লাগানো আছে, এ বিষয়ে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
বিচারাঙ্গণে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্ত অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আশা করি সেই আলোয় প্রভাবিত হয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।