হঠাৎ করেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। শরীরে ব্যথার জন্য মার্শ সরে দাঁড়ানোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম ওয়ানডের নেতৃত্ব পান অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ। তাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ তিনটা ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া খেলল পাঁচ অধিনায়কের অধীনে।
ফল অবশ্য বদলায়নি। টানা তিনটা সিরিজই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিস্টলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে ইংল্যান্ডকে ডিএলএস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ৪৯ রানে।
ইংল্যান্ডের ৩০২ রানের জবাবে ২০.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২ উইকেটে ১৬৫। এরপর নামা বৃষ্টিতে খেলা হয়নি আর। ম্যাথু শর্ট ৫৮, স্টিভেন স্সিথ ৩৬* আর ট্রাভিস হেড করেছিলেন ৩১ রান।
তখন ডিএলএসে এগিয়ে থাকায় জয় নিশ্চিত হয় সফরকারীদের। এর ৫ বল আগে বৃষ্টি এলে পরিত্যক্ত হতো খেলা। কারণ ওয়ানডেতে ফলের জন্য ২০ ওভারের একটা ইনিংস হওয়া জরুরি।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালে অ্যারন ফিঞ্চ, ২০২২ সালে প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড আর এবার মিচেল মার্শ ও স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে জিতল তারা।
শুরুতে ব্যাট করে একটা সময় ২ উইকেটে ২০২ করেছিল ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট করেন ৯১ বলে ১০৭ রান। সেখান থেকে ৩০৯-এ গুটিয়ে যাওয়াটা হতাশার তাদের জন্য। ট্রাভিস হেড ঘূর্ণি জাদুতে নেন ২৮ রানে ৪ উইকেট।
ম্যাচ শেষে এটাকেই টার্নিং পয়েন্ট বলেছেন মিচেল মার্শ, ‘‘১০০ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরি আমরা। ১২ দিনের মধ্যে ৫টা ওয়ানডে খেলা চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা উপভোগ করেছি। শিরোপা জেতা সবসময় কঠিন। এখন আমাদের লক্ষ্য কয়েক মাস পরের পাকিস্তান সফর (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি)।’’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৪৯.২ ওভারে ৩০৯ (ডাকেট ১০৭, ব্রুক ৭২, সল্ট ৪৫; হেড ৪/২৮, হার্ডি ২/৩৮)। ; অস্ট্রেলিয়া: ২০.৪ ওভারে ১৬৫/২ (শর্ট ৫৮, স্মিথ ৩৬*, হেড ৩১, ইংলিস ২৮*; কার্স ১/৩৬, পটস ১/৪৯)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৯ রানে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতিতে)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ট্রাভিস হেড, ৩১ রান ও ৬ উইকেট ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ট্রাভিস হেড, ২৪৮ রান ও ৬ উইকেট।
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ৩–২’এ জয়ী।