Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

৪৩১ রানের ম্যাচ শেষ বলে জিতল অস্ট্রেলিয়া

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফিরছেন মিচেল মার্শ ও টিম ডেভিড। ছবি: টুইটার
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফিরছেন মিচেল মার্শ ও টিম ডেভিড। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

ডিপ মিডউইকেট ও ওয়াইড লং-অনের মাঝামাঝি এলাকায় লাফ দিলেন গ্লেন ফিলিপস। তার উড়ন্ত শরীর ও হাতের নিচ দিয়ে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। সমান্তরালে ম্যাচটাও ছিটকে গেল নিউজিল্যান্ডের হাত থেকে। টিম ডেভিডের দানবীয় ইনিংসে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষ বলে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ওয়েলিংটনের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২১৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। কঠিন সেই লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে টপকে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২১৬। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে রান হয়েছে ৪৩১। যেখানে জয়ের হাসি অস্ট্রেলিয়ার। তাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

অধিনায়ক মিচেল মার্শ ৪৪ বলে খেলেছেন হার না মানা ৭২ রানের ইনিংস। কঠিন লক্ষ্যে তার ইনিংস জয়ের পথ তৈরি করেছে। তবে সেটি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ডেভিড। ছয় নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালিয়ে নিউজিল্যান্ডের মুঠোর ভেতর থাকা ম্যাচ ছোঁ মেরে নিয়ে এসেছেন তিনি। ১০ বলে ৩ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে খেলেছেন ম্যাচজেতানো ৩১ রানের ইনিংস। যে দুটো বাউন্ডারির একটি মেরেছেন ১ বলে ৪ রানের প্রয়োজনীয়তার সময়।

ওয়েলিংটনের ম্যাচের বাঁকবদল হয়েছে কয়েকবার। ম্যাচের পরিস্থিতিতে কখনও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পাল্লা ভারি হয়েছে, কখনও নিউজিল্যান্ডের। তবে শেষ তিন ওভারে কিউইদের পক্ষেই ছিল ম্যাচ। ১৮ বলে অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ৪৩ রান। পরে ১২ বলে লক্ষ্য ঠিক হয় ৩৫।

সেসময় মার্শ ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না। এমনকি ফুলটস বলেও ব্যাট লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। তবে ডেভিড এমন আগ্রাসী রূপে হাজির হলেন যে, উড়ে গেল কিউইরা। অ্যাডাম মিলনের করা ১৯তম ওভারে তিনি এক চার ও দুই ছক্কা মারলে শেষ ওভারে দরকার হয় ১৬ রান।

টি-টোয়েন্টির হিসাবে খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে টিম সাউদি প্রথম তিন বল থেকে রান দেন মাত্র ৪। আবার কঠিন হয়ে যায় সমীকরণ। তখন হিসাবটা দাঁড়ায় এমন- ৩ বলে ১২ রান। সাউদির চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে কাজটা সহজ করে নেন ডেভিড, পরের বলে নেন ২। তখন শেষ বলে দরকার ৪ রান। সাউদির বলে সেই সমীকরণ মিলিয়ে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।

যদিও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মার্শের হাতেই। শেষদিকে এই ব্যাটার কিছুটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার ব্যাটেই জয়ের পথ তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ার। ৪৪ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় খেলেছেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড উদ্বোধনী জুটিতে ৫.২ ওভারে পায় ৬১ রান। ফিন অ্যালেন ১৭ বলে ৩২ রান করে ফিরলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। ৪৬ বলে তিনি খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। তবে তাকেও ছাড়িয়ে যান রাচিন। তিনে নেমে ৩৫ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। যদিও তাদের ইনিংস দুটি বৃথা গেছে মার্শ ও ডেভিডের বীরত্বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত