Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: টুইটার
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

ওয়েলিংটনের ম্যাচ যদি হয় ব্যাটারদের, তাহলে অকল্যান্ডের ম্যাচ বোলারদের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হয়েছিল ৪৩১ রান। আর শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি রান হলো ২৭৬। যেখানে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

অকল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৭২ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০তে এগিয়ে থেকে চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি নিজেদের কাছে রেখে দিল মিচেল মার্শরা।

লকি ফার্গুসন দুর্দান্ত বল করেছেন। এই পেসার ৩.৫ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। বেন সিয়ার্সের পারফরম্যান্সও মন্দ নয়। ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় তার শিকার ২ উইকেট। এরপরও অস্ট্রেলিয়া ১৯.৫ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১৭৪ রান তোলে স্কোরবোর্ডে। রানতাড়ায় কিউইরা দাঁড়াতেই পারেনি। ১৭ ওভারে অলআউট মাত্র ১০২ রানে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া উদ্বোধনী জুটি থেকে ২.১ ওভারে পায় ৩২ রান। ডেভিড ওয়ার্নারের জায়াগায় স্টিভেন স্মিথ হন ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গী। টি-টোয়েন্টিতে ফেরাটা সুখকর হয়নি স্মিথের। ৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১১ রানে বিদায় নেন তিনি। তবে হেড চালিয়ে যান তাণ্ডব। ২২ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার।

অধিনায়ক মার্শ ২১ বলে করেন ২৬ রান। তবে ব্যর্থ হয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যদিও ৬ রানে আউট হওয়ার আগে একটা রেকর্ড ঠিকই গড়ে গেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কা এখন ম্যাক্সওয়েলের। অ্যারন ফিঞ্চের (১২৫ ছক্কা) রেকর্ড ভেঙে ১২৬তম ছক্কা হাঁকিয়েছে তিনি।

আগের ম্যাচের নায়ক টিম ডেভিডও তেমন অবদান রাখতে পারেননি। ১৯ বলে করেন ১৭ রান। এরপরও অস্ট্রেলিযা লড়াই করার পুঁজি পায় প্যাট কামিন্সের ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংসে সুবাদে। বল হাতেও তিনি উজ্জ্বল। ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট। ব্যাট-বলে দারুণ পারফর্ম করার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কামিন্স।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ধসে পড়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন গ্লেন ফিলিপস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান ট্রেন্ট বোল্টের। এদের বাইরে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন শুধু জশ ক্লার্কসন (১০)।

আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ের ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। উইকেটকিপিংয়ের সময় তার বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে বলের আঘাত লাগে। যেকারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট জানিয়েছে, আঙুলে এক্সরে করা হবে এই ক্রিকেটারের।

কিউইদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। নাথান এলিস ১৬ রানে নেন ২ উইকেট। জশ হ্যাজেলউডও ছিলেন দুর্দান্ত। ৪ ওভারে এক মেডনসহ ১২ রান দিয়ে শিকার ১ উইকেট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত