Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার প্রতাপ দেখল ওমান

5555555555555
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

অস্ট্রেলিয়াকে সম্মান করলেও পাত্তা দিচ্ছিলেন না ওমানের অধিনায়ক আকিব ইলিয়াস। দুই দলকে মাপছিলেন একই পাল্লায়। তবে পার্থক্যটা ঠিকই বুঝিয়ে দিল হট ফেবারিট হয়ে আসা অস্ট্রেলিয়া। বার্বাডোসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানকে ৩৯ রানে হারাল তারা। অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটে ১৬৪ রানের জবাবে ওমান থামে ৯ উইকেটে ১২৫ রানে।

ব্যাটে বলে ম্যাচের নায়ক মার্কাস স্টয়নিস। আইপিএল মাতিয়ে যাওয়া স্টয়নিস খেলেন ৩৬ বলে ২ বাউন্ডারি ৬ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস। এরপর বল হাতে নেন ৩ উইকেট।

ট্রাভিস হেড রান পাননি প্রথম ম্যাচে। ১২ রান করে ফেরেন বিলাল খানের বলে। মিচেল মার্শ ১৪ আর ছন্দ হারানো গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ০ রানে আউট হলে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টয়নিসের চতুর্থ উইকেটে ১০২ রানের জুটিতে কাটে চাপটা। কঠিন পিচে বড় সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।

ব্যাট হাতে ৬৭ রানের পর বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস।

টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ উইকেটে এটা অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সেরা জুটি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ার্নার ও ম্যাক্সওয়েলের ১৬১ রানের জুটি তাদের সেরা। ওয়ার্নার-স্টয়নিসের দাপটে শেষ ৮ ওভারে ১০১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ার্নার ফেরেন ৫১ বলে ৬ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৫৬ রানে। টি-টোয়েন্টিতে ওয়ার্নারের ৫০ ছাড়ানো ইনিংস রেকর্ড ১১১টি। আগের সেরা ১১০টি ছিল ক্রিস গেইলের। অ্যারন ফিঞ্চকে ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানও এখন ওয়ার্নারের। ফিঞ্চের রান ৩১২০ আর ওয়ার্নারের ৩১৫৫।

জবাবে ওমানের ব্যাটাররা ধুঁকতে থাকেন শুরু থেকেই। পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় তারা। শেষ দিকে আয়ান খানের ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু।

মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, নাথান এলিস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মার্কাস স্টয়নিসের উইকেট ৩টি। স্টার্ক ৩ ওভারে ২০, জাম্পা ৪ ওভারে ২৪, আর স্টয়নিস ৩ ওভারে দেন ১৯ রান।

এই ম্যাচে প্যাট কামিন্সেকে একাদশে রাখেনি অস্ট্রেলিয়া। অথচ টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়ক তিনি। মার্শ অধিনায়ক হওয়ার আগে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও ছিল তার কাঁধে। তবে দলের কম্বিনেশনের জন্য বেঞ্চে থাকাটা হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন কামিন্স।

 সিনিয়র ক্রিকেটার হলেও পানি নিয়ে কামিন্স মাঠে এসেছেন কয়েকবার। আবেগের বদলে পেশাদারিত্ব বেশি গুরুত্ব দেয় বলেই তো অস্ট্রেলিয়া বিশ্বসেরা দল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত