কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত অস্ট্রেলিয়া। তাই দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ আমাদের জমি কমছে, আর মানুষ বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করতে পারে, কারণ তারা কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত।”
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে সফল হয়েছে, কারণ গত ১৫ বছরে কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে উৎপাদন আরও বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।”
জলবায়ু ইস্যুতে উন্নত দেশগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু সেগুলো পূরণ করছে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা অলস বসে থাকিনি, বরং জনগণকে বাঁচাতে নিজস্ব জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করেছি। আমরা আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করছি।”
রোহিঙ্গা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে কোনও ধরনের যুদ্ধ বা সংঘাতের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “আমরা সব দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনা ও সংলাপ চাই। বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে । বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য অনুরোধ করলেও, তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে না।”
বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও এর আয়তন খুবই কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেজন্য সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছে। সরকার সারাদেশে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে।
অস্ট্রেলীয় উদ্যোক্তাদের সেখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।
সাক্ষাতে কৃষি, শিক্ষা ও বাণিজ্যসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। তারা এসব বিষয়ে দুই দেশের যোগাযোগ ও অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গভীর করার ওপর জোর দেন।