১০০০তম ওয়ানডে ৪১ বলে জিতল অস্ট্রেলিয়া

১৯৭১ সালের ৫ জানুয়ারি মেলবোর্নে হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে। অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ওয়ানডে খেলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। ম্যাচটা ৫ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।

৫৩ বছর পর ক্যানবেরায় সেই অস্ট্রেলিয়া খেলল ১০০০তম ওয়ানডে। তাদের পরে শুরু করেও গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দল হিসেবে ১০০০তম ওয়ানডে খেলেছিল ভারত। এক বছর পর একই দিনে দ্বিতীয় দল হিসেবে এই মাইলফলকে পা রাখল অস্ট্রেলিয়া। কাকতালীয়ভাবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, দুই দলের প্রতিপক্ষই ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

এ পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছে ২৯টি দল। সবচেয়ে কম ৩টি ম্যাচ খেলেছে ইস্ট আফ্রিকা। বাংলাদেশ খেলেছে দশম সর্বোচ্চ ৪৩৫ ম্যাচ।

টেস্টে ১ হাজারের বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড শুধুই ইংল্যান্ডের।। ১০৬৮টি টেস্ট খেলেছে তারা। অস্ট্রেলিয়া খেলেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬৪ টেস্ট।

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ২৩১ ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। ভারত খেলেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৯ ম্যাচ।

সর্বোচ্চ ওয়ানডে

১০০০তম ওয়ানডের উপলক্ষ্যটা অস্ট্রেলিয়া রাঙিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে গুঁড়িয়ে দিয়ে। শুরুতে ব্যাট করা ক্যারিবিয়রা ২৪.১ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৬ রানে। ৬.৫ ওভার বা ৪১ বলে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় লক্ষ্যটা। স্টিভেন স্মিথদের ৮ উইকেটে জেতা  এই ম্যাচটাই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হওয়া সবচেয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের ওয়ানডে।

৬০০ বলের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১৮৬ বলেই। ওয়ানডেতে এর চেয়ে কম বলে শেষ হয়েছে আর শুধু ৫টি ম্যাচ।

ওয়ানডের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এটাই সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। ২০০৪ সালে সাউদাম্পটনে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৬৬ রানের চ্যারলঞ্জ ২৫৩ বল হাতে রেখে জিতেছিল তারা।

জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ১৮ বলে ৪১ ও জশ ইংলিশ করেন ১৬ বলে ৩৫ রান। ম্যাথু ফোর্ডের চতুর্থ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২৪ রান । ৩ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে এর ২৩ করেন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। অস্ট্রেলিয়া দাপটেই ৩-০’তে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

আরও একবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন জ্যাভিয়ার বার্টলেট। দুই ওয়ানডে খেলে দুইবারই ম্সেযাচ রা তিনি! সিরিজ সেরার পুরস্কারও এই পেসারের। ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ৮৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।