‘সাবদার ধরে আবদার, কিছু হয়না, কেন হয় না…’
হয়তো এটাই সাবদার ভাইয়ের শেষ কবিতা ছিল— তার এই অপ্রকৃতস্থ হওয়াটা, যেন সব কিছুকে ছাড়িয়ে চলে গেলেন কোনও অন্যলোকে।
হয়তো এটাই সাবদার ভাইয়ের শেষ কবিতা ছিল— তার এই অপ্রকৃতস্থ হওয়াটা, যেন সব কিছুকে ছাড়িয়ে চলে গেলেন কোনও অন্যলোকে।
সময়ের ব্যবধানে তার ভক্তকুল তাকে যে মহা মানবীয় রূপ দিয়েছেন সেই মানুষকে আমি চিনবো না। যাকে চিনতাম তাকে নিয়ে কিছু কথা, কিছু স্মৃতি।
যে বয়স্ক গ্রামীণ মহিলা—যার ছেলেটা মারা গেছে রাজাকারের হাতে, ভিটা গেছে অন্য কারও হাতে, তবুও যে মাটি ছাড়েনি, যে জলার টানায় থাকে, হাঁস-মুরগি পেলে পেট চালায়— তার মৃত্যুটা কী ছিল?
কোনও মেয়েকে বিয়ের জন্য উদ্ধার করাটা অনেক কমন ছিল তখন। হয়ত মাঝে মধ্যে এখনও ঘটে, কিন্তু ছেলে? আমাদের ‘ছেলেকে’ নাকি বাবা-মা আটকে রেখেছে, এদিকে মেয়ের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে।
তিনি জাসদ সমর্থক না, তাই সন্দেহের বাইরে। কিন্তু তল্লাশি চলছে, তাই চিঠিটা এলাকা থেকে বের করা দরকার।
বিপ্লবের ডাক ছিল কারও কারও জন্য কবিতার চেয়েও তীব্র। … যে বিপ্লবের টানে লেখাপড়া বাদ দিয়ে সে বিপ্লব করতে চলে যায় তার দিন শেষ, পার্টির দিনও শেষ।
যুদ্ধে সে গিয়েছিল দেশ উদ্ধার করতে, পরিস্থিতি তাকে দিল— বিজয় ও ব্যর্থ প্রেম। নেশাটা কিন্তু তার নিজের ইচ্ছায়; তবে মানুষ দুর্বল, এভাবেই তো ঘটে বিপদ।
যে বন্ধুদের কথা বললাম, ওরা শহুরে মধ্যবিত্ত, সুশীল সমাজের মানুষ। কিন্তু গ্রামে এরকম হাজারও কেইস আছে, যেখানে জীবন আর জীবিকার তাগিদে মানুষকে আবার নতুন লড়াই শুরু করতে হয়েছে— নেশা করে ক্ষত ভুলবার মতো সুযোগ বা সামর্থ্য হয়নি, পায়নি তারা। তাদের কষ্ট কম নয়। শ্রমে ফিরতে হয়েছে বলে একদিক থেকে তারা বেঁচে গেছে।
গ্রামের বাকি মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা করতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে যাদের তুলে দেওয়া হতো তারা প্রায় সব ক্ষেত্রেই গ্রামের সবচেয়ে দরিদ্র ঘরের মানুষ, অসহায় মানুষ।
‘সকাল সন্ধ্যা’ সংবাদমাধ্যম থেকে যখন লিখতে বলল, বললাম মানুষ নিয়ে লিখব। আমার এই ৭২ বছরের জীবনে যত মানুষের সাথে দেখা হয়েছে বা এখনো দেখা হয়
হয়তো এটাই সাবদার ভাইয়ের শেষ কবিতা ছিল— তার এই অপ্রকৃতস্থ হওয়াটা, যেন সব কিছুকে ছাড়িয়ে চলে গেলেন কোনও অন্যলোকে।
সময়ের ব্যবধানে তার ভক্তকুল তাকে যে মহা মানবীয় রূপ দিয়েছেন সেই মানুষকে আমি চিনবো না। যাকে চিনতাম তাকে নিয়ে কিছু কথা, কিছু স্মৃতি।
যে বয়স্ক গ্রামীণ মহিলা—যার ছেলেটা মারা গেছে রাজাকারের হাতে, ভিটা গেছে অন্য কারও হাতে, তবুও যে মাটি ছাড়েনি, যে জলার টানায় থাকে, হাঁস-মুরগি পেলে পেট চালায়— তার মৃত্যুটা কী ছিল?
কোনও মেয়েকে বিয়ের জন্য উদ্ধার করাটা অনেক কমন ছিল তখন। হয়ত মাঝে মধ্যে এখনও ঘটে, কিন্তু ছেলে? আমাদের ‘ছেলেকে’ নাকি বাবা-মা আটকে রেখেছে, এদিকে মেয়ের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে।
তিনি জাসদ সমর্থক না, তাই সন্দেহের বাইরে। কিন্তু তল্লাশি চলছে, তাই চিঠিটা এলাকা থেকে বের করা দরকার।
বিপ্লবের ডাক ছিল কারও কারও জন্য কবিতার চেয়েও তীব্র। … যে বিপ্লবের টানে লেখাপড়া বাদ দিয়ে সে বিপ্লব করতে চলে যায় তার দিন শেষ, পার্টির দিনও শেষ।
যুদ্ধে সে গিয়েছিল দেশ উদ্ধার করতে, পরিস্থিতি তাকে দিল— বিজয় ও ব্যর্থ প্রেম। নেশাটা কিন্তু তার নিজের ইচ্ছায়; তবে মানুষ দুর্বল, এভাবেই তো ঘটে বিপদ।
যে বন্ধুদের কথা বললাম, ওরা শহুরে মধ্যবিত্ত, সুশীল সমাজের মানুষ। কিন্তু গ্রামে এরকম হাজারও কেইস আছে, যেখানে জীবন আর জীবিকার তাগিদে মানুষকে আবার নতুন লড়াই শুরু করতে হয়েছে— নেশা করে ক্ষত ভুলবার মতো সুযোগ বা সামর্থ্য হয়নি, পায়নি তারা। তাদের কষ্ট কম নয়। শ্রমে ফিরতে হয়েছে বলে একদিক থেকে তারা বেঁচে গেছে।
গ্রামের বাকি মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা করতে বাধ্য হয়েছে মানুষ। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে যাদের তুলে দেওয়া হতো তারা প্রায় সব ক্ষেত্রেই গ্রামের সবচেয়ে দরিদ্র ঘরের মানুষ, অসহায় মানুষ।
‘সকাল সন্ধ্যা’ সংবাদমাধ্যম থেকে যখন লিখতে বলল, বললাম মানুষ নিয়ে লিখব। আমার এই ৭২ বছরের জীবনে যত মানুষের সাথে দেখা হয়েছে বা এখনো দেখা হয়