Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

আওয়ামী লীগ ভুলে গিয়েছিল ঘুষ, দুর্নীতি অপরাধ : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ  

কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ঘুষ, দুর্নীতি যে অপরাধ, অন্যায়, তা আওয়ামী লীগ সরকার ভুলেই গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। 

ঢাকার জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (সিআরইউ) রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী সেখানে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের মাথা, গোড়া পর্যন্ত পচিয়ে ফেলেছে। ঘুষ এখন নেই, তা বলব না। পৃথিবীর সব দেশে কম-বেশি ঘুষ আছে।

“ঘুষ খাওয়া লজ্জাজনক বিষয় ছিল। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে, ঘুষ নেওয়া লজ্জার তো দূরের কথা, এ নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি যে অপরাধ, অন্যায়, তা আওয়ামী লীগ সরকার ভুলেই গিয়েছিল।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আদালতে যাওয়া দৈনন্দিন ঘটনা ছিল বলে জানান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে ৮০০ বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে কত মামলা আছে, তা আমি নিজেও জানি না।

“কারাগারে যেতে হয়েছে বহুবার। একবার একটানা ১৮ মাস আটক ছিলাম। পরে ছিলাম ৫ মাস। কারাগারে যাওয়ার অনেক স্মৃতি এখনও মাথায় রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা সব কয়টি মামলা ছিল ভুয়া, মিথ্যা।” 

প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলা বা সাজা দেওয়ার পক্ষপাতী বিএনপি নয় বলে জানান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “মানবতার খাতিরে আমরা বলব, যে অন্যায় আমাদের সঙ্গে হয়েছে, সে একই অন্যায় আমরা করতে চাই না। যদি আওয়ামী লীগ অন্যায় করে থাকে, তাহলে আইনগতভাবে তাদের বিচার হবে। প্রতিহিংসাবশত মামলা ও সাজা দেওয়ার পক্ষে আমরা নই।”

বিগত সরকারের আমলে বিচার বিভাগ প্রভাবমুক্ত ছিল না জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমার মামলার বিচার করার সময় ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই স্বীকার করেছেন, তাকে বাধ্য হয়ে সাজা দিতে হয়েছে। তখন দয়া করে তিনি (বিচারক) সাজা কিছুটা কমও দিয়েছেন আমাকে, যাতে পরে আমি নির্বাচনে অংশ নিতে পারি।

“এর চেয়ে বড় অসহায়ের বিষয় হলো হাই কোর্টের বিচারক যখন বলেন, ‘আল্লাহর কাছে বিচার চান’। এই ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়ে আমরা নজর রাখব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত