Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সুরুজ মিয়া
সুরুজ মিয়া
[publishpress_authors_box]

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় সুরুজ মিয়া (৭০) নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ চারজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাশীপুরের ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন।

আহতরা হলেন– সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে জনি আহমেদ মুন্না (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং তাদের সহযোগী রাসেল মিয়া (৩২) ও শাকিল আহাম্মেদ (৩০)।

পুলিশ বলছে, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় সাল্লু বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম জানিয়েছেন, কাশীপুরের ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় ইট-বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাল্লু স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।

তিনি জানান, সাল্লুসহ তার বাহিনীর সদস্যরা সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে আহত করার পর স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুরুজ। ঘটনার সময় তাকে বাঁচাতে গেলে তার দুই ছেলেসহ চারজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

স্থানীয়রা জানান, সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না ভোলাইল গেদ্দারবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে কিশোরগ্যাং গড়ে তোলে। এরপর ইট-বালুর ব্যবসা শুরু করে। তাদের কাছ থেকে ইট-বালু না নিলে ওই এলাকায় কাউকে নতুন ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হয় না। এই ব্যবসার দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে সাল্লু বাহিনীর সঙ্গে মুন্নার বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধে জড়িয়ে পড়েন সুরুজও। তিনদিন আগে স্থানীয়দের কাছে বালু বিক্রি করা নিয়ে সুরুজের ছেলে মুন্না ও সাল্লুর সহযোগী হিরার মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে ওই এলাকায় গত দুইদিন থমথমে পরিস্থিত ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ওসি নুরে আজম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরুজ মিয়া বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তার মাথায় গেলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সাল্লু-হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে সুরুজ মিয়ার ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। এরপর সুরুজের বাড়ির গলিতে ডুকে অনন্ত আটটি শেডের বাড়ির জানালা-টিন ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের পর নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত