আদালতে তোলার সময় হামলার শিকার হয়েছেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু।
বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন চত্বরের নিচে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আমির হোসেন নুরু বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মীরের ময়দান বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের সামনের সড়ক থেকে নুরুকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর একটি দল। পরে রাত সাড়ে ৮ টায় বালাগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার জন্য নিয়ে এলে তিনি হামলার শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ নুরুকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তার ওপর হামলা হয়। পুলিশ বাধা দিলেও আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন মিলে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়।
হামলাকারীরা নিহত সায়েম আহমদ সোহেলের স্বজন ও অনুসারী বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কয়েকজন আসামিকে মারধর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোটে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত সায়েম আহমদ সুহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু।