খৎনার পর রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদন মনঃপুত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়।
এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন দেখে একে ‘আইওয়াশ’ এবং প্রতিবেদনের সুপারিশকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
শাহজাহান আকন্দ বলেন, “আদালত কমিটির প্রধান হিসেবে প্রফেসর মাকসুদুল আলমকে ঠিক করে দিয়েছেন। সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রফেসর শশাঙ্ক কুমার হালদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর হাফিজুর রহমান কার্জন, ড. সাথী মন্ডল ও প্রফেসর আমিনুর রশিদ।”
শিশু আয়ানের মৃত্যু নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সেগুলো যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মাসুম।
তার আবেদনের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে ১৫ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানাতে রুল জারি করা হয়।
সে আদেশ অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ডা.পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৯ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করা হয়।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর খৎনা করানোর জন্য আয়ানকে সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তার অভিভাবকরা। খৎনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর সাতদিন পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।