দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন ব্যাডমিন্টন আম্পায়ার নাজিব ইসমাইল রাসেল। তিনি কিডনি, হার্টসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
এই অবস্থাতেই গত সপ্তাহে ভারতের গুয়াহাটিতে গিয়েছিলেন ইয়োনেক্স সানরাইজ গুয়াহাটি মাস্টার্স টুর্নামেন্টে। সেখানে দায়িত্ব পালন শেষে হোটেলে থাকা অবস্থায় শনিবার মারা গেলেন রাসেল।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।
বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনের অন্যতম সেরা আম্পায়ার ইসমাইল নজীব রাসেল। বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার তিনি।
সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহ খান তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেন, “ভারতের গৌহাটিতে একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ চলছিল। বিশ্ব ব্যাডমিন্টনের প্যানেলের আম্পায়ার হওয়ায় ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন তিনি। আজ তার ম্যাচ পরিচালনা কথা ছিল। কিন্তু যখন সে কোর্টে আসছিল না তখন আয়োজকরা হোটেলে যায়। রুমে ধাক্কাধাক্কি করার পরও রুম না খোলায় দরজা ভাঙা হয়। তখন তারা দেখেন রাসেল ভাই আর নেই।”
বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনে আম্পায়ার রাসেল অত্যন্ত পরিচিত মুখ। শুধু আম্পায়ারিং নয়, ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি। ব্যাডমিন্টন নিয়ে তার বিস্তর পড়াশোনা। ব্যস্ততাপূর্ণ দৈনন্দিন জীবনেও তার দিনের অনেক সময় কাটত ব্যাডমিন্টনের বই পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় টুর্নামেন্টে রাসেল আম্পায়ারিং করেছেন। বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টনের মান দক্ষিণ এশিয়ার পর্যায় হলেও আম্পায়ার রাসেল ছিলেন বিশ্ব মানের। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।