ঢাকার বেইলি রোডে ভবনে আগুন লাগার পর সাফোকেশনে বা দমবন্ধ হয়েই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের ভবনটি শুক্রবার পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “অক্সিজেনের অভাবে বা সাফোকেশনে (মানুষ) মারা গেছেন। আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম। সরকার যদি চায় এখানে র্যাবকে তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজন, তবে আমরা তদন্ত করব। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।”
এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনটি আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক তা র্যাব তদন্ত করে দেখবে কিনা জানতে চাইলে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “এটা আবাসিক ভবন ছিল নাকি বাণিজ্যিক ভবন ছিল, সেটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো তদন্ত করে দেখবে। কোনও ব্যত্যয় থাকলে তারা সেটা খতিয়ে দেখবেন।”
তিনি বলেন, “সরকার যদি বলে, এখানে তদন্ত করা প্রয়োজন— সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হয়েছিল কিনা, তাহলে আমার সেটা তদন্ত করে দেখব— কী উদ্দেশে ভবনটি করা হয়েছিল, আর কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। খতিয়ে দেখলে বের হবে।”
ভবনটিতে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে।
“আগুন যখন প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল তখন তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে।”
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের যদি মনে হয় এখানে ইনভেস্টিগেশন করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেটা করব। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং এ ব্যাপারে কাজ করছে, তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনটিতে কাচ্চি ভাইসহ বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান, মোবাইল ফোন ও কাপড়ের দোকান ছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।