এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পুরস্কারটি জিতছেন না জেনে প্যারিসের অনুষ্ঠানই বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ। বিতর্কের জন্ম দেওয়া ব্যালন ডি’অর শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছেন রোদ্রি। তবে আলোচনা-সমালোচনা থামেনি। এর মাঝেই ফ্রান্স ফুটবল জানাল কে কত ভোটিং পয়েন্ট পেয়েছেন।
রোদ্রি ও ভিনিসিয়ুসের লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। দুজনের ব্যবধান মাত্র ৪১ পয়েন্ট। ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেয়েছেন ১১৭০ পয়েন্ট। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেয়েছেন ১১২৯ পয়েন্ট।
এবারের ব্যালন ডি’অর ফেভারিট ছিলেন ভিনিসিয়ুস। ফুটবল বিশ্লেষকরা তার হাতেই দেখছিলেন সোনার বল। তবে পুরস্কার দেওয়ার দিন রিয়াল জানতে পারে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জিতছেন না পুরস্কারটি। দলীয় সাফল্য ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়ানোর পরও ভিনির হাতে পুরস্কারটি না ওঠায় ব্যালন ডি’অর বয়কট করে রিয়াল মাদ্রিদ।
গত ২৮ অক্টোবর প্যারিসে দেওয়া হয়েছে ব্যালন ডি’অর। প্রায় দুই সপ্তাহ পর ফ্রান্স ফুটবল ভোটের হিসাব প্রকাশ করেছে। যেখানে মাত্র ৪১ পয়েন্ট কম পাওয়ায় ব্যালন ডি’অর হাতছাড়া হয়েছে ভিনিসিয়ুসের। এই ফরোয়ার্ড গত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অন্যদিকে ক্লাব ফুটবলে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতার পর স্পেনের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে রোদ্রি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ হয় সাংবাদিকদের ভোটের মাধ্যমে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া হয় আন্তর্জাতিক জুরি। তাদের সঙ্গে থাকেন ফরাসি সংবাদ মাধ্যম লেকিপের সম্পাদকীয় সদস্য ও আগেরবারের সেরা জুরি সদস্য। সাংবাদিকরা ফ্রান্স ফুটবলের গড়ে দেওয়া ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী ১০ জন খেলোয়াড়কে নির্বাচন করে ক্রমানুসারে পয়েন্ট দিয়েছেন। পয়েন্টের হিসাবটা এমন- ১৫, ১২, ১০, ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ ও ১।
এই ভোটিং প্রক্রিযায় ৪৯ জন সাংবাদিকের তালিকায় শীর্ষস্থান পেয়েছেন রোদ্রি। অন্যদিকে ৩৫ জন সাংবাদিক শীর্ষে রেখেছেন ভিনিসিয়ুসকে। তবে বাহরাইন, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পানামা- এই পাঁচ দেশের সাংবাদিকরা শীর্ষ দশেই রাখেননি রোদ্রিকে। অন্যদিকে ভিনিকে কোনও ভোট দেননি এল সালভাদর, ফিনল্যান্ড ও নামিবিয়ার সাংবাদিক।