Beta
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরেকটা বিভ্রান্তি : ফখরুল

মঙ্গলবার দুপুরে ডিআরইউতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিআরইউতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ‘আরেকটা বিভ্রান্তি’ বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত নয়, ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করতে সবাইকে আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বলেও অভিমত তার।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়ার সপ্তাহ না যেতেই সোমবার (২০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের মাধ্যমে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিবৃতিটি আসে।

আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে তার দুর্নীতিকে প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট এবং এগুলোর ওপর জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় তার ভূমিকার কথাও বলা হয়েছে।

তিন বছর আগে র‌্যাবের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন ওয়াশিংটনের তরফে জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা এল।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সভার প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দুর্নীতি… আমরা হাজার বার বলছি, সব সময় বলছি, গোটা দুনিয়া বলছে যে, বর্তমান শাসকগোষ্ঠি আকুণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে আছে। এখন তারা (সরকার) অস্বীকার করে… তারা দুর্নীতি করে না।

“এখন দেখেন… এই যে, আজকেই খবর এসেছে যে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র… তার পরিবারসহ। কেন? দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবিত করা এবং জনগণের বিশ্বাস ক্ষুণ্ণ করা।”  

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিএনপি মহাসচিব।

আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, “অনেকেই খুশি হবেন যে, আজিজের ওপর স্যাংশন এসেছে….। আমি মনে করি যে, ওটা হচ্ছে আরেকটা বিভ্রান্ত করা। এরকম বিভ্রান্ত হচ্ছি আমরা সবসময়। তখন র‌্যাবের বিরুদ্ধে হয়েছে, পুলিশের ৯ জন কর্মকর্তা র‌্যাবে ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেও স্যাংশন হয়েছিল। এতে করে কি তাদের (সরকার) সেই ভয়ংকর যাত্রা বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হয় নাই।”  

নিজেদের শক্তি দিয়েই এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলে দলকে সতর্ক করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, “নিজেদের পায়ে নিজেদের দাঁড়াতে হবে। নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজের শক্তি নিয়েই এদেরকে (সরকার) পরাজিত করতে হবে। আমার নিজের ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, অন্য কেউ ঘর সামলিয়ে দেবে না।”

আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ‘ভয়ের রাজত্ব’ তৈরি করছে বলে অভিযোগ মির্জা ফখরুলের।

তিনি বলেন, “আপনারা (সরকার) ব্যবহার করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রকে, আপনারা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন সেনাবাহিনীকে, ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন বিচার বিভাগকে, প্রশাসনকে এবং আজকে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন, ভয়ের রাজত্ব তৈরি করেছেন।

“এই যে সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন, মিডিয়ার ভাইয়েরা আছে, তারাও এখন মন খুলে, প্রাণ খুলে রিপোর্ট লিখতে পারেন না। প্রতিটি শব্দ চয়ন, লিখতে চিন্তা করতে হয়—এর জন্য জেলে যেতে হবে কি না? এর জন্য মামলা খেতে হবে কি না? এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা।”

“এজন্য আমাদের জনগণের আরও ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে হবে। রাস্তায় নামা ছাড়া কোনও বিকল্প নাই। আমরা অন্য কোনও পথ চিনি না। আমাদের প্রকাশ্যে সামনে এসেই লড়াইটা করতে হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যা করা হয় যে, আমরা নাকি (সরকার) উৎখাত করতে চাই। আমরা উৎখাতের কথা বলিনি, উৎখাত করতে যাব কেন?

“আমরা ভোটের অধিকার চাই, সেই ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা তোমাদের (আওয়ামী লীগ) পরাজিত করব। সেই ভোটের অধিকার অর্জন করার জন্য আমাদের সবাইকে আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।”  

“আমি সব সময় বলি, আমরা (বিএনপি) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি…. আমরা কোনও রেডিকেল পার্টি বা রেভুলেশনারি পার্টি না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত