তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডেটাই ভালো খেলত বাংলাদেশ। নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটেই এখন বেহাল দশা। সবশেষ ১১ ওয়ানডের ১০টিই হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। হেরেছে টানা ৪টি ওয়ানডে সিরিজও। তাই ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা অনিশ্চিত বাংলাদেশের।
এর আগে বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টানা ৪টি ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে ২০১১ সালে। সেবার অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্তও টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজে জয়হীন ছিল বাংলাদেশ।
২০২৭ সালের ৩১ মার্চ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা নয়ে না থাকলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আটের বাইরে চলে যায় তাহলে থাকতে হবে সেরা আটে। অথচ বাংলাদেশ এখন আছে ১০ নম্বরে। গত ১৯ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং এটা।

১০ থেকে ৯-এ আসতে অনেক কাঠখড়ই পোড়াতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী দেড় বছরে বাংলাদেশের আট সিরিজে ২৪টি ওয়ানডে খেলা নিশ্চিত। পাশাপাশি যোগ হতে পারে আরও কয়েকটি ওয়ানডে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলেও, ক্যারিবীয়দের ৩-০ ব্যবধানে হারালে বাংলাদেশ ৯ নম্বরে উঠে আসবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০২৬ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। প্রতিটি সিরিজই তিন ম্যাচের। ঘরের মাঠে বিশেষ করে মিরপুরে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন। তাই ঘরের মাঠে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের বিপক্ষে আশাবাদী হতেই পারে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে হবে দেশের বাইরে। এই সিরিজগুলোই ঠিক করে দিবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের পথ।



