ব্যাংকে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) না খুলেও ক্রয়-বিক্রয় চুক্তিপত্রের অনুকূলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানির সুযোগ রয়েছে। এই পদ্ধতির কিছু জটিলতা দূর করায় এ ধরনের আমদানি অনেকটা সহজ হয়ে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে এলসি না খুলেও কীভাবে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আমদানি বাণিজ্য পরিচালনা করা যাবে সে বিষয়ক নির্দেশনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী এই সুবিধার আওতায় বছরে ৫ লাখ ডলারের পণ্য এলসি ছাড়া বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আমদানি করা যাবে।
চুক্তির আওতায় আমদানি তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্টিং পোর্টালে দিতে হবে। বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট গ্রহণ বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।
নির্দিষ্ট সময়ে মূল্য পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের পক্ষে চুক্তির মাধ্যমে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয় অথোরাইজড ডিলার ব্যাংকগুলোকে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ওই নির্দেশনা বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইপিজেড ও ইজেড) চুক্তির মাধ্যমে আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
স্বাভাবিক নিয়মে আমদানির জন্য স্বল্প মেয়াদি আমদানি ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারক নিজেই স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিতে পারবে আমদানি দায় পরিশোধের জন্য। বিদেশি ঋণদাতা সরবরাহকারীকে গ্যারান্টি দিতে পারবে। আমদানির জন্য গৃহীত বিদেশি ঋণ এবং সুদ ঋণের শর্ত অনুযায়ী পরিশোধ করতে পারবে।
এই পদ্ধতিতে চুক্তিপত্রের আওতায় কাঁচামাল আমদানিতে ৬০ দিনের স্বল্প মেয়াদি বৈদেশিক ঋণের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। স্বল্প মেয়াদি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে কর্পোরেট, ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষকে গ্যারান্টি প্রদানের সাধারণ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আমদানি নিয়ে এই নির্দেশনার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন করা হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে ঘোষিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এলসি ছাড়া আমদানি করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এলসি ছাড়া আমদানির সুযোগ আমদানিনীতি আদেশে থাকলেও সুস্পষ্ট পদ্ধতির অভাবে উক্ত কার্যক্রম করতে সমস্যা দেখা দেয়। নতুন সার্কুলারে করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা উল্লেখ করার ফলে কোনও সমস্যা ছাড়াই ব্যাংক আমদানিকারককে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারবে।