দেশের ডলার সংকটের মধ্যে রেমিটেন্স যেভাবে বাড়ার কথা ছিল সেভাবে না বাড়ার পেছনের কারণ প্রণোদনার অর্থ লক্ষ্যশ্রেণি না পাওয়াকে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের এই প্রণোদনা রাঘব-বোয়ালদের পেটে যাচ্ছে। কিছু অংশ রেমিটেন্স প্রেরণকারীরা পায়। বাকিটা তারা পকেটস্থ করছে। একারণে রেমিট্যান্স যে পরিমাণ বাড়া উচিৎ ছিল সে পরিমাণ বাড়েনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং’ বিষয়ে এ কে এন আহমেদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে ফরাসউদ্দিন এসব কথা বলেন।
মুক্তবাজার অর্থনীতির তাত্ত্বিক আলোচনাকে এক কথায় নাকচ করে দিয়ে ফরাসউদ্দিন বলেন, ”মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সব কিছু একটা সাম্যবস্থায় চলে আসবে- এই তত্ত্বকে আমি বিশ্বাস করি না। কোনও দেশে কখনও হয়েছে বলে মনে হয় না। কাজেই মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারনাটা আমার কাছে এক ধরনের ভাওতাবাজী বলেই মনে হয়।”
তার মতে, এ ধরনের অর্থনীতিকে ‘ম্যানেজ’ করতে হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতির ধ্যান-ধারণাকে সামনে রেখে, এই অর্থনীতির ধর্মকে সামনে রেখেই এটাকে ম্যানেজ করতে হয়।
“এখন যেমন দরকার হয়ে পড়েছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা যে ধরনের কাজ করে, সেই কাজের ধারার মধ্যে থেকেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় গভর্নর একেএন আহমেদ ১৯৭৪ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৬ সালের জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়ে দেশে প্রথমবারের মতো ১০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। জালনোট প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন একেএন আহমেদ। ২০১৬ সালে প্রবাসে প্রথিতযথা এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকারের মৃত্যুর পর বিআইবিএম এ ধরনের স্মারক বক্তৃতার উদ্যোগ নেয়।
‘মুদ্রানীতি এবং রাজস্ব-নীতি ও বাণিজ্য-নীতির সঙ্গে এর সমন্বয়’ শীর্ষক ওই বক্তৃতায় ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে ব্ক্তৃতা দেন। বিষয়গুলো হলো, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা বিনিময় হার ও সুদহার নিয়ন্ত্রণ।
মূল্যস্ফীতির আলোচনার অংশে তিনি বলেন, “মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়াটাই মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদরা মনে করেন একটি দেশে ৫-৬ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি হলে স্থির আয়ের মানুষ, গরিব মানুষের কষ্ট হয়। আমরা এখন যে অবস্থায় আছি তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সফলভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন বলেন, “এতে বড় ধরনের উল্লাস করার কিছু নেই। এটা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্ত হাতে কাজ করতে হবে।”
অর্থনীতির বিভিন্ন সমীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বা টাকার সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করেন ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, টাকার সরবরাহ কমালে কর্মসংস্থানও কমে যেতে পারে। ফলে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান যাতে ঠিক রাখে সে ধরনের পদক্ষেপ কী নেওয়া যায় তা দেখতে হবে।
“দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ছাড় দিচ্ছে। এই ছাড় দেওয়ার পরও মূল্যস্ফীতি কমছে না। শুল্ক ছাড়ের সুফলটা ক্রেতা পায় না, বিক্রেতা পায়, খুব অদ্ভুত ব্যাপার। যেখানে শুল্ক কমানো হয়েছে সেখানে কিন্তু দাম কমেনি।”
বাজার নিয়ন্ত্রণকারী এই মধ্যস্বত্বভোগীদের ‘ম্যানেজ’ করার কথা বলেন ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, “এদের প্রভাব কমাতে সরকারের খাদ্য মজুদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই যে আমার চাষী ভাই অনেক কষ্টে ফসল ফলান। কিন্তু সরকারের ফসল সংগ্রহ আমি বলব প্রায় ব্যর্থ। কারণ মূল্যটা যথাযথভাবে হয় না। যদিও বা (যথাযথ) হয়ে থাকে, সেটা কিছু মিল মালিক পান। চাষী ভাই মূল্য পায় না। মিলমালিকরা স্বল্প সংখ্যক অত্যন্ত অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে মিলে সরকারের এই অভিযান সম্পুর্ণ ব্যর্থ করে দেয়। চাষীদের কাছ থেকে কম দামে কিনে এরা মজুদ করতে থাকে। এ কারণে ফসল তোলার পরপরই খাদ্যসশ্যের দাম বাড়তে থাকে।
এর সমাধানে তিনি বলেন, “চাষীদের উদ্বৃত্ত খাদ্যসশ্য তারা যাতে নিজেরাই কিনে নিতে পারেন সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যদি তাদের সমবায় সমিতিগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হতো এবং সরকারের খাদ্যসশ্য মজুদ স্বক্ষমতা ২২ লাখ টন থেকে বাড়িয়ে যদি ৩০ লাখ টন করা হতো, তাহলে চাষীরা সেখানে তাদের সবটুকু ফসল রাখতে পারতেন এবং সমবায়ের মাধ্যমে নিজেদের ফসল নিজেরাই বিক্রি করতে পারতেন। তারা তুলনামূলক বেশি মূল্য পেতেন। আমরা ন্যয্যমূল্য কিনতে পারতাম।”
১৯৭৪ সালে এর আ“গের বছরের চেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল, এমনকি ১৯৭৫ সালের থেকেও এর আগের বছর বেশি ফসল উৎপাদন হওয়ার পরও দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”মধ্যসত্ত্বভোগিদের কারণেই এমনটা হয়েছিল।”
”বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে দেখেন খাদ্য গুদাম নাই, গুদামে খাদ্য নাই, মাঠে ফসল নাই। কারণ, হয় সবাই মুক্তি যুদ্ধে গেছে, অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করছে। একারণে তিনি ২ হাজার লোক নিয়ে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) করেছিলেন, কনজ্যুমার সারপ্ল্যাস অ্যাসোসিয়েশন করেছিলেন। ১৯৯২-৭৩ সালে মূল্যস্ফীতি সারাবিশ্বে গগণচুম্বী ছিল। এর মধ্যেও বঙ্গবন্ধু এটাকে মোটামুটিভাবে ম্যানেজ করতে পেরেছিলেন।
‘শেখ হাসিনার ম্যানেজের ঘটানাটি আরও চমৎকার। ১৯৯৮ সালে সাংঘাতিক একটা বন্যা হয়েছিল। ব্যাপক ফসলহানী হয়। তিনি ১০ লাখ টনের একটি খাদ্যসশ্যের গুদাম খুললেন। অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার নেতৃত্বে একটি টাক্সফোর্স করে ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৯ মাস প্রায় দেড় কোটি মানুষকে খাদ্য দেওয়া হলো। এই সাকসেস স্টোরিগুলো প্রয়োগ করা কত কঠিন তা যারা সরকারের ভেতরে আছেন তারা জানেন।’
‘কিন্তু আমি বলব যখন দুই দুই বার আমরা সফল হয়েছি, তখন যে মধ্যসত্ত্বভোগিরা আমাদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সরকারের কোনও রকম হম্বি-তম্বিতেও কাজ হচ্ছে না,’ তাদের বিরুদ্ধে আবারও এমন উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন ফরাসউদ্দিন।
এ মধ্যস্বত্বভোগীদের তাদের অস্ত্র দিয়েই ‘ঘায়েল’ করার পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, অস্ত্রটা হলো ট্রাক সেল। খাদ্য মজুত করে তিন মাস খোলা বাজারে স্বল্প দামে পণ্য বিক্রি করতে হবে। টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বর্তমানের চেয়ে বাড়িয়ে দিতে হবে। এখন যদি ১০০টি ট্রাকে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি হয়, তাহলে ১০ হাজার ট্রাকে পণ্য বিক্রি করতে হবে। সরকার যদি পণ্য মজুদ শুরু করে, তাহলে মধ্যসত্ত্বভোগীরা মজুদ করা পণ্য ছেড়ে দেবে। কারণ তারা জানে দাম পড়ে যাবে। আমার মনে হয় তাদের ঘায়েল করা উচিৎ।’
‘মুদ্রানীতির আরেকটি দিক বিনিময় হার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর ‘মাল্টিপল এক্সচেঞ্জ রেট’ রাখার দরকার নেই। ইউনিফর্ম এক্সচেঞ্জ রেট বা একক বিনিময় হার থাকলেই হবে। আর এর মধ্যেই প্রণোদনাটা অন্তভূক্ত থাকবে। তাতেও তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ বোধ করবেন। আমি খবরের কাগজে ইতোমধ্যে লিখেছি, রেমিট্যান্সের এই প্রণোদনা রাঘব-বোয়ালদের পেটে যাচ্ছে। কিছু অংশ রেমিটেন্স প্রেরণকারীরা পায়। বাকিটা তারা পকেটস্থ করছে। একারণে রেমিট্যান্স যে পরিমাণ বাড়া উচিৎ ছিল সে পরিমাণ বাড়েনি।
টাকা-ডলার অদল-বদলের প্রক্রিয়া সোয়াপ নিয়ে সমালোচনা করেন সাবেক এই গভর্নর। তিনি বলেন, “ব্যাংকগুলো এই পরিমাণ ডলার কোথায় পাচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কোথা থেকে টাকা দিচ্ছে। এই টাকা তারা কি প্রন্ট করে দিচ্ছে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল নীতি।”
তিনি মানুষরে কাছে লুকিয়ে রাখা টাকা বিনা বাধায় ব্যাংকে জমা রাখার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার সূত্র ধরে ফরাসউদ্দিন বলেন, “আমাদের কূটনীতি যদি অর্থনৈতিক কূটনীতি হয়, যদি খালি ‘হামতুম আর হায়-হ্যালো’র কুটনীতি না হয়, রপ্তানিকারকদের যদি রাজি করানো যায় যে তারা বিদেশি পার্টনার নেবে যারা আমাদের অতিরিক্ত উৎপাদন কিনে নেবে, রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পাশে থেকে যদি সেবা সুশ্রসা দেওয়া হয়, তাহলে রেমিটেন্স ৩০ বিলিয়ন ডলার ও রপ্তানি ৭০ বিলিয়নে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। লক্ষণ আছে ভারত ও চীন আমাদের কাছ থেকে পোশাক নিয়ে বিক্রি করতে চাচ্ছে।”
‘টাকার অবমূল্যায়ন সবচেয়ে দুশ্চিন্তার কারণ। টাকার মূল্য কমে গেলেই মূল্যস্ফীতি হতে বাধ্য।’ যোগ করেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা হিসাব করি দেখি যে বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ আসছে। তাহলে আমরা বাজেটে ৮ শতাংশই লিখবো, ৫ শতাংশ লিখবো না। কারণ, তথ্য-উপাতত্ত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা অত্যান্ত জরুরী।’
বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা অনুষ্ঠান শেষে এ কে এন আহমেদ ‘ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে আট জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সময় রউফ তালুকদার ফরাসউদ্দিনের কিছু মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সোয়াপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা করার পর থেকেই ডলার বের হচ্ছে। আমরা দেখেছি ডলার কিনে মানুষ বালিশের নিচে রেখে দিয়েছে। খুব আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, আমরা ব্যাংকে ডলার জমার সুযোগ সহজ করে দেওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে পাঁচ লাখ নগদ ডলার জমা হচ্ছে। এতে রিজার্ভ বাড়ছে। ব্যাংক কিন্তু কোনো প্রশ্ন করছে না। আবার বিদেশ থেকে আসার সময় কেউ যদি ঘোষণা দেয় আমি ডলার নিয়ে এসেছি। কেউ প্রশ্ন করবে না। সেই ডলার আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট) হিসেবে জমা রাখা যাবে।
খোলা বাজারের (কার্ব মার্কেট) ডলার বেচাকেনা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আমরা এই মার্কেটের দরদাম খুব একটা আমলে নেই না। কারণ এই মার্কেট গুজবে চলে। কোনো জায়গা থেকে একটা তথ্য পেলেই হুটহাট করে এই মাকের্টের রেট বেড়ে যায়। আবার কমেও যায়। অনেক সময় দেখা গেছে ব্যাংকের থেকে কার্ব মার্কেটে ডলার কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
‘গত ছয় মাসে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ২ শতাংশ। এখন খুব বেশি অবমূল্যায়ন আর হচ্ছে না। একধরনের স্থিতিশীলতা চলে এসেছে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসছে। অর্থনীতির অন্য সূচকগুলো ইতিবাচক ধারা ফিরতে শুরু করেছে। এটি বজায় থাকবে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ও আর্থিক নীতি একসঙ্গে প্রয়োগ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চাহিদা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারের অনেক খরচ কমানো হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, তাতে চলতি বাজেটের খরচ ১৫ শতাংশ কম হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি দ্রুত নেমে আসবে। যে পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘরে নামবে না ততক্ষণ খরচ কমানোর ধারা চলবে।
খেলাপিঋণের ক্ষেত্রে আগামী দুই বছরের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মন্তব্য করেন গভর্নর। তিনি বলেন, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে পথনকশা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতায় একটা বড় সমস্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। এই জায়গায় আগামী দুই বছরের মধ্যে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, সরকারি -বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক শিহাব উদ্দিন খান।