বাংলাদেশে যারা এক্সপোর্টার বা রপ্তানিকারক, তারাও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
সোমবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দপ্তরে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, “যারা এক্সপোর্টার আছে, তারাও মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। দেশে প্রতিদিনই একশ’ থেকে দুইশ’ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। এজন্য সব সংস্থার সমন্বয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।”
মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশে বছরে মানি চেঞ্জারের মাধ্যমে লেনদেন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে হয় ২৭০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ছোট একটি অংশের লেনদেন সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা যখন ডলারের রেট ২ টাকা বাড়িয়ে দেন, তখন অনেক প্রবাসীই রেমিট্যান্সের অর্থ ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়। এ জন্য মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিআইডি প্রধান মো. আলী বলেন, মাদক, মানি লন্ডারিং মামলায় শুধু বাহক বা ব্যবহারকারী নয়, গডফাদারদের খোঁজা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে।