বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ প্রশাসক বসিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে কী কারণে নগদে প্রশাসক বসানো হয়েছে তার উল্লেখ নেই ওই প্রজ্ঞাপনে।
এতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বদলি করে হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১ এ সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের জন্য তিনি নগদ নামের এই ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রশাসকের সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ৬ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নিয়োগ পাওয়া ৬ কর্মকর্তা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্যাহ্, যুগ্ন পরিচালক পলাশ মন্ডল, যুগ্ম পরিচালক (আইসিটি) আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপ পরিচালক (আইসিটি) চয়ন বিশ্বাস এবং উপ পরিচালক মো. আইয়ুব খান।
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর এ মিশুক অজ্ঞাত স্থানে রয়েছেন।
গত ১৮ আগস্ট অজ্ঞাত স্থান থেকে দেশের ডিজিটাল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি একটি সভা করেন তানভীর মিশুক। তার বাবা ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাবার শয্যার পাশে থেকেই তিনি যুক্ত হন এই আলোচনায়।
সেখানে নগদের অবস্থান পরিষ্কার করে মিশুক বলেন, “আমরা সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে কাজ করছি। ফলে সব সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হয় আমাদের। আগের সরকারের সঙ্গে করেছি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে করছি, ভবিষ্যত সরকারের সঙ্গেও করব। আমাদের কোনও দলীয় সংশ্লিষ্টতা নেই, তবে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব।”
২০২৮ সাল পর্যন্ত ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের এই চুক্তি কার্যকর রয়েছে বলে জানান তানভীর মিশুক। এই চুক্তি অনুযায়ী, নগদের মোট আয়ের ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ।
২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর ৫ বছরের মধ্যে নগদ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। মাস দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে লাইসেন্স পায় নগদ। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেওয়া সেই লাইসেন্সের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নগদের গ্রাহক সংখ্যা এখন সাড়ে ৯ কোটির ওপরে এবং প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটি গড়ে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন করে।