মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এক মাসের ব্যবধানে নীতি সুদহার আরও কিছুটা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এক মাস ধরে নীতি সুদহার রয়েছে ৯ শতাংশ। মঙ্গলবার এটা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে বুধবার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকা ধার করতে হলে ব্যাংকগুলোকে প্রতি ১০০ টাকায় বার্ষিক ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ দিতে হবে। এতে ব্যাংকগুলোর তহবিল খরচ আগের থেকে বাড়বে। ব্যাংকের ঋণের সুদহারও বাড়বে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে বিষয়টি সব ব্যাংককে জানিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথমবার নীতি সুদহার বাড়ানো হয় ২৫ আগস্ট। ওই দিন মুদ্রানীতির কমিটির বৈঠকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমাতে নীতি সুদহার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে সবশেষ নীতি সুদহার বাড়ানো হয় গত ৮ মে। ওই দিন নীতি সুদহার ৮ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়।
মঙ্গলবারের সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মুদ্রানীতি কমিটির ৫ম সভায় মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সঙ্কোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুসারে ওভারনাইট রেপো নীতি সুদহার ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
ব্যাংকসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনর লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নীতি সুদহার দুই দফা বাড়ানোর কথা জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। প্রথম দফায় মঙ্গলবার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। পরের দফা নীতি সুদহার বাড়ানো হবে আগামী মাসে।
