ব্যাংক ঋণের সুদহার আরও বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এখন ব্যাংক থেকে ১০০ টাকা ঋণ নিতে বছরে প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ সুদ দিতে হবে গ্রাহকদের।
ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে ঋণ নিলেই কেবল এই সুদহার প্রযোজ্য হবে। আগে নেওয়া ঋণের সুদহার আগের মতোই থাকবে। তবে ছয় মাস পর সুদহার পূণনির্ধারণ করতে পারবে ব্যাংক।
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার করিডোর ঘোষণা করে।
ঘোষণা অনুযায়ী, জানুয়ারির সিক্স মানথস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল (স্মার্ট) ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এরসঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে বাণিজ্যিক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে।
সেই হিসাবে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত জানুয়ারিতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ওই মাসে স্মার্ট রেট ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বাজারে তারল্যের চাহিদা বাড়ায় ট্রেজারি বন্ড ও বিলের সুদহার বেড়েছে। একই কারণে স্মার্ট রেটও বেড়ে চলেছে।
গত বছরের জুলাই থেকে ঋণের সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করে নতুন ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই মাসে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে গত ১৭ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই মুদ্রানীতিতে আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে সীমিত রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ঋণের ব্যয় বাড়িয়ে চাহিদা কমানোর পরিকল্পনা সংস্থাটির।
বর্তমানে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এই মুদ্রানীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন মুদ্রানীতিতে পলিসি রেট বা রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
এতে ব্যাংকগুলোর তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নেওয়ার খরচ বেড়েছে। তহবিল খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঋণের বিপরীতেও সুদ বাড়াতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।