Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ

দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: বাফুফে।
নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: বাফুফে।
[publishpress_authors_box]

মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতিতে হিমালয় ডিঙানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেপাল গিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দল। সেই চ্যালেঞ্জে কি দারুণভাবেই উতরে গেছেন মিরাজুল ইসলামরা। বুধবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ফাইনালে নেপালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেছেন মিরাজুল ইসলাম। ১টি করে গোল করেছেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা। নেপালের সান্ত্বনার গোলটি করেন সমীর।

বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল- যে কোনও পর্যায়েই সাফের শিরোপা যেন সোনার হরিণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। ২০০৩ সালে সর্বশেষ সাফের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ জাতীয় দল। বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-২০ দল যে আনন্দ এর আগে কখনোই করতে পারেনি।

প্রথম গোলের পর মিরাজুল ইসলামের উদযাপন। ছবি: বাফুফে।

অবশ্য নেপালের মাটিতে ২ বছর আগে সাবিনা খাতুনেরা জিতেছিলেন সাফের শিরোপা। এরপর এই আনফা কমপ্লেক্সেই অনূর্ধ্ব-১৬ নারী সাফে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপর এবার এসেছে যুব দলের এমন সাফল্য।

সেমিফাইনালের একাদশ থেকে ফাইনালে ৩ বদল আনেন বাংলাদেশের কোচ মারুফুল হক। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের নিয়মিত গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ খেলবেন সেটা নির্ধারিতই ছিল। সেমিফাইনালে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আকাই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। আকাইয়ের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মারুফুল আরেকটি পরিবর্তন এনেছেন। চন্দন রায়কে একাদশের বাইরে রেখেছেন। চন্দন ও আকাইয়ের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন রাজীব ও ইফতেখার।

প্রথমার্ধে সমানে সমান লড়েছে নেপাল ও বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ দাপটের সঙ্গে খেলেছে বাংলাদেশই বেশি সময়।

বাংলাদেশের ফুটবলারদের গোল উদযাপনের দৃশ্য। ছবি: বাফুফে।

শুরু থেকেই বাংলাদেশের বক্সে বেশ কয়েকবার আতঙ্ক ছড়িয়েছেন নেপালি ফরোয়ার্ড নিরঞ্জন ধামি। ৯ মিনিটে তো নিরঞ্জনের দারুণ শট ফিস্ট করে ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ। ৩১ মিনিটে নিরঞ্জনের শট বার ঘেষে চলে যায়।

বাংলাদেশ বার বার আক্রমণে উঠেও খেই হারিয়েছে প্রথমার্ধে। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার খানিক আগে নেপালে দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন মিরাজুল। ৪৪ মিনিটে  সেট পিস পায় বাংলাদেশ। মিরাজুলের অসাধারণ ফ্রি কিক সাইডপোস্টে কোনায় লেগে ঢোকে জালে (১-০)।

বিরতির পর বাংলাদেশ যেন আক্রমণের ধার বাড়ায় আরও বেশি। সেই আক্রমণের ফলই দ্বিতীয় গোল মিরাজুলের। আসাদুল ইসলাম সাকিবের ক্রস থেকে এক বাংলাদেশি ফুটবলারের সামনে এসে পড়ে বল। সেই বলে হেডে দারুণ দক্ষতায় গোল করেন মিরাজুল (২-০)। এই গোলের সুবাদে ৪ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হলেন মিরাজুল।

গোলের পর বাংলাদেশের ফুটবলারদের উদযাপনের দৃশ্য। ছবি: বাফুফে।

অবশ্য নেপালকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন রাব্বি হোসেন রাহুল ৭২ মিনিটে। মিরাজুলের বাড়িয়ে দেওয়া বলে দারুণ শটে রাহুল করেন ৩-০। পিছিয়ে পড়েও গোল শোধে মরিয়া ছিল নেপাল। ৭৯ মিনিটে লং বল ধরে বক্সে ঢোকেন নেপালের এক ফুটবলার। এরপর সমীরের হেডে ৩-১ করে নেপাল।

নির্ধারিত সময়ের পর বাড়তি ১০ মিনিট সময় যোগ করেন রেফারি। ওই সময়ে নেপাল বেশ কয়েকটা ভয়ঙ্কর আক্রমণ করেছেন। তবে উল্টো যোগ হওয়া সময়ের পঞ্চম মিনিটে নোভা নেপালের কফিনে ঠোকেন শেষ পেরেক।

বাংলাদেশ : আসিফ ( গোলরক্ষক ), আশরাফুল হক আসিফ, শাকিল আহমেদ তপু, আসাদুল ইসলাম সাকিব, রাব্বি হোসেন রাহুল, পিয়াস আহমেদ নোভা, মিরাজুল ইসলাম, আসাদুল মোল্লা, রাজীব হোসেন, ইফতেখার হোসাইন ও দুখু মিয়া।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত