Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
একান্ত সাক্ষাৎকারে কাবরেরা

তারকা না থাকাটাই বাংলাদেশের শক্তি

Sports-(960-x-540-px)-02222024
[publishpress_authors_box]
হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে বাংলাদেশের ফুটবল ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গত সাফ ফুটবলে দুর্দান্ত খেলার পর বাংলাদেশের বড় পরীক্ষা হবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে। সকাল সন্ধ্যার ক্রীড়া সম্পাদক সনৎ বাবলা-কে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের এই স্প্যানিশ কোচ দলের প্রস্তুতি, তার আগ্রাসী চেহারা, তারকা সংকট ও আগামী সাফ জয়ের পরিকল্পনার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

প্রশ্ন : সত্যি বললে গত সাফে বাংলাদেশ দলের কাছে অনেকের কোনও প্রত্যাশা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ দল এত ভালো খেলেছে, মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। ১৪ বছর পর সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। হুট করে দলের এই রূপান্তরের পেছনের কারণটা যদি বলেন…

হাভিয়ের কাবরেরা : এটা হলো একটা প্রক্রিয়া, যার প্রথম বড় সাফল্যটা পেয়েছি আমরা গত বছর জুনে। কিন্তু আমরা কাজটা শুরু করেছিলাম ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে। প্রথম বছরে প্রক্রিয়া মেনে কাজ করার ফলই এখনকার ইতিবাচক পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ২০২৩ এর মার্চে আমরা সৌদি আরবে অনুশীলনের সুযোগ পাই। সেখানে উন্নত ফুটবলীয় সুবিধায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ট্রেনিং করি আমরা। সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচ আমাদের টিম প্ল্যান বুঝতে সাহায্য করেছে। এরপর থেকেই আসলে সবকিছু আমাদের পক্ষে আসতে শুরু করে। এর ফল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, মালদ্বীপের সঙ্গে প্লে-অফ (বিশ্বকাপ বাছাই), আফগানিস্তান ও লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে এসেছে। এগুলো আসলে দুই বছরের প্রক্রিয়ার ফল।

প্রশ্ন : সাফে দুর্দান্ত রঙ বদল হয়েছিল দলের। রহস্যটা আরও বিস্তারিত জানতে চাই…

কাবরেরা : এটার পেছনে অবশ্য বেশ আত্মনিবেদন ছিল। প্রথম বছরে যখন অমি এখানে আসি, জানতাম আমাকে কোন প্রক্রিয়ায় কাজ করতে হবে। কারণ আমি প্রায় একই কন্ডিশনে ভারতেও কাজ করেছি বেশ কয়েক বছর। আমি বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল) অনুসরণ করেছি নিয়মিত। তবুও আরও অনেক কিছু বুঝতে হয়েছে। এদেশের লিগ সম্পর্কে, এখানকার ফুটবলারদের সম্পর্কে, কী পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা এখানে, ওসবও মাথায় রাখতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে প্রথম বছরে একটা অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় বছর আমাদের ফুটবল দর্শন অনুযায়ী খেলোয়াড় বাছাই করতে শুরু করি। মূল বিষয় হলো, ফুটবলার বাছাই করা, সবার সঙ্গে আলোচনা করা, নিজেদের প্রক্রিয়া মতো অনুশীলন করা- এইসব।

বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে কোচ কাবরেরা। ছবি: বাফুফে

প্রশ্ন: গত ২২ জুন থেকে ধরলে বাংলাদেশ দলের চমৎকার রেকর্ডও। ১০ ম্যাচে ৩টি জয়ের সঙ্গে ৪টি ড্র। এটাকে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

কাবরেরা : হ্যাঁ, দ্বিতীয় বছরটা আমাদের দারুণ কেটেছে। সব মিলিয়ে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতেছি। মালদ্বীপের সঙ্গে দুবার, সিশেলস, কম্বোডিয়া ও ভুটানের সঙ্গে একটি করে। এরপর কাতারের সঙ্গে আমরা অতিরিক্ত সময়ে হারলেও ওই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম করেছি আর আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র-কেও আপনি সামনে রাখতে পারেন। এই সাফল্য বা পারফরম্যান্সগুলো আমরা যে কাজ করেছি তার ওপর বিশ্বাস এনে দিয়েছে এবং অবশ্যই সাহস জুগিয়েছে ইতিবাচকভাবে ২০২৪-এ চোখ রাখতে। এ বছর আমরা যে দলগুলোর সঙ্গে খেলব ওরা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। ওদের চ্যালেঞ্জও বড় হবে। গত বছরের সাফল্যগুলো সামনে রেখে আমরাও ওই চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি।

প্রশ্ন : আপনি নিশ্চয়ই একসঙ্গে কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার পেয়েছেন। তবে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ম্যাচ জয়ের বিশ্বাস ফেরানোর কাজটা কঠিন। এটা কীভাবে করেছেন?

কাবরেরা : অবশ্যই প্রক্রিয়া মেনে অনুশীলন আমাদের সহযোগিতা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বাংলাদেশি ফুটবলাররা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, ওদের প্রতিভা আছে। ওরা যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ইতিবাচক ফুটবল খেলতে পারে, এই বিষয়টা বোঝাতে আমার খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। কারণ ওদের সেই ব্যক্তিত্ব ও মনোবলটা আছে। আমি আবারও বলছি এই ফুটবলারদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই, ওদের নিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার অনুশীলন করিয়ে ইতিবাচক ফুটবল খেলায় অভ্যস্ত করেছি। এটা লম্বা সময়ের প্রক্রিয়া ছিল। এর সঙ্গে কোচরাও ছিলেন। সব মিলিয়ে আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা ছিল যা ধীরে ধীরে করতে পেরেছি এবং এখনও আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। শেখারও বাকি আছে অনেক।

“ফুটবলারদের প্রতিভার ওপর ভরসা করলে হবে না। ওই প্রতিভাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে ফেলে তৈরি করতে হবে। এটাই আসলে বাংলাদেশের দরকার। এটা আমার মন্তব্য।”

হাভিয়ের কাবরেরা, বাংলাদেশ কোচ

প্রশ্ন: জয় একটা অভ্যাসের ব্যাপার, যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ফুটবলে অনুপস্থিত। আগের কোচ রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলাতেন যেন ম্যাচ ড্র করে কিছু পয়েন্ট পাওয়া যায়। আপনার সময় দেখছি, আক্রমণাত্মক ফুটবলও খেলছে এই দল।

কাবরেরা: এই আলোচনা করাটা কঠিন। অবশ্যই পেশাদার ফুটবলে জয়টাই মুখ্য। তবে আমাদের বাস্তবতাও বুঝতে হবে। জয়টা নির্ভর করে অনেক কিছুর ওপর। কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলছি সেটা একটা বড় বিষয়। ম্যাচ জিতব কিনা সেটা আমাদের অবস্থান এবং বিপক্ষের অবস্থানের ওপরও নির্ভর করবে। আমরা কোন ধরনের ফুটবল খেলতে চাই- আক্রমণাত্মক নাকি রক্ষণাত্মক? আমাকে বিভিন্ন পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুটবলার তৈরি করতে হবে। কোনও কিছু অর্জন করতে হলে আমাকে ওই মানের ফুটবলার তৈরি করতে হবে। ফুটবলারদের প্রতিভার ওপর ভরসা করলে হবে না। ওই প্রতিভাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জে ফেলে তৈরি করতে হবে। এটাই আসলে বাংলাদেশের দরকার। এটা আমার মন্তব্য। বাংলাদেশ এখনও জয়ী দল হতে পারেনি। বাংলাদেশ এখনও ম্যাচ নির্ভর দল হয়ে আছে। আমাদের যদি জয়ী দল হতে হয় তবে অবশ্যই বিভিন্ন পরিকল্পনা মতো ফুটবলার তৈরি করতে হবে। ২০২৪ সালে আমরা এই কাজটি করব।

প্রশ্ন : মাদ্রিদে জন্মেছেন, আলাভেস ক্লাবের যুব দলে কাজ করেছেন। ম্যাচে দেখি আপনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের মানসিকতা। আপনার কোচিং দর্শনটা কী?

কাবরেরা : হ্যাঁ, স্প্যানিশ ফুটবলে যেটা সবচেয়ে বেশি পরিচিতি সেটা আমারও ভালো লাগে। সমন্বিত ফুটবলটা স্প্যানিশরা পছন্দ করে, সেটা অনুশীলনে হোক বা ম্যাচে। দেখবেন স্প্যানিশ দলগুলো বেশিরভাগই সমন্বয় করে আক্রমণে ওঠা পছন্দ করে। এছাড়া আমি খুবই ভাগ্যবান যে সেরা কোচ ও ফুটবল ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে কোচিংয়ের বিষয়গুলো শিখতে পেরেছি। এতে আমার অতীত ফুটবল জ্ঞান ও দর্শন আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। এরপর ভারতে এসে এখানকার ফুটবলের সঙ্গে নিজের চিন্তাদর্শনটা মিলিয়েছি। অভিজ্ঞতা ও নতুনত্বের দারুণ সংমিশ্রণ হয়েছে এবং এখানে থেকেও আমি শিখছি। সব মিলিয়ে এখন নিজের স্বকীয়তা তৈরি করার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন : পেপ গার্দিওলা তার ফুটবল স্টাইলের বাইরে যান না। আবার কার্লো আনচেলোত্তি স্টাইল সাজান দলের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য বুঝে। আপনার কোনটা পছন্দ?

কাবরেরা: আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হলো বহুমুখী হওয়া। আমরা বল পজেশন নিয়ে খেলা দল, এটা বলতে পারব না। এমনকি আক্রমণনির্ভর দল, এটাও বলা যাবে না। আমরা ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী এবং প্রতিপক্ষের শক্তি দেখে দুই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে খেলতে চেষ্টা করি। ম্যাচ যেমনটা চাইবে, আমরা সেভাবে খেলব। অনেক সময় এমন হবে যে, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী তখন আমরা বল নিয়ে খেলতে পারব না। তখন আমাদের কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে হবে। আবার কখনও কখনও নিশ্চিত করতে হবে, আমরা বল পজেশন নিয়ে খেলতে পারব। আমি চেষ্টা করব আমরা যেন ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী বহুমুখী পদ্ধতিতে খেলতে পারি।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ভালো ফুটবল খেলছে। তাহলে কি এখন যেভাবে খেলছে, ২০২৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে এটাই কি যথেষ্ট?

কাবরেরা : যদি সাফ জিততে পারি, এটা হবে বিশাল অর্জন। গত সাফ থেকে আমরা ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এই টুর্নামেন্ট আগেরগুলোর মতো সহজ ছিল না। এবার ভালো দল যেমন লেবানন, কুয়েত খেলেছে। আমরা দুই দলের বিপক্ষেই খেলেছি এবং লড়াই করেছি ভালোভাবে, বিশেষ করে কুয়েতের সঙ্গে। আমরা জানি, আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, ২০২৫ সাফে গতবারের চেয়ে ভালো দল হয়ে যেতে পারি। অবশ্যই আমরা আবারও সেমিফাইনালে খেলতে চাই এবং আশা করি এর চেয়েও বেশি ভালো করতে পারব।

প্রশ্ন : ভারত এখন দারুণ খেলছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদেরকে হারিয়ে সাফ জিততে হবে…

কাবরেরা : অবশ্যই ভারত আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বা বাধা। গতবার আমরা ভারতের মুখোমুখি হতে পারিনি। আমি ওদের বিপক্ষে খেলার অপেক্ষায় ছিলাম। এমনকি সেমিফাইনাল বা ফাইনালে হলেও আমি খুশি হতাম। ওদের সঙ্গে আমরা এশিয়ান গেমসে দারুণ খেলেছি। ওরা আমাদের সহজে হারাতে পারেনি, ৮৫ মিনিটের দিকে পেনাল্টি গোল করে হারিয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, ভারতের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য আমাদের ভালোভাবেই আছে। আমি চাই, ওদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ কিংবা সাফে খেলতে। তাহলে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব আমরা কোথায় আছি।

প্রশ্ন : এখন দেশের ফুটবলানুরাগীরা ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দুটো নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। স্বপ্নও দেখছেন। আপনিও কি দারুণ এক জয়ের কথা ভাবছেন?

কাবরেরা : অবশ্যই না। অবশ্যই এ দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে জিততে পারলে ভালো হতো। কিন্তু বাস্তবতা দেখতে চাই। এশিয়ান কাপে অসাধারণ খেলেছে ফিলিস্তিন। ওরা চ্যাম্পিয়ন কাতারের সঙ্গে লড়াই করেছে, আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে ড্র করেছে। তারা হংকংকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা জানি ওরা ভালো দল। কিন্তু এটাও সত্যি, আমরা আমাদের সামর্থ্যটা জানি। আমি বলব আমরাও শক্ত দল, আমাদের হারানো সহজ হবে না। এখন লক্ষ্য হলো, আমরা কীভাবে সামনের দিকে যেতে পারব এটা নিশ্চিত করা। আমরা চাই ওই দুই ম্যাচে কিছু অর্জন করতে। আমরা ভাগ্যবান যে আবার সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করতে যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে ম্যাচগুলো খেলব। ওই অনুশীলন থেকে আমরা সর্বোচ্চটা নেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ ফুটবল অনেকদিন ধরে তারকাহীন। জাতীয় দলের এই পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই কিছু তারকার জন্ম হবে?

কাবরেরা : আমার দলের সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হলো, দলে কোনও নির্দিষ্ট তারকা নেই। এটাই আমাদের মূল শক্তি বলতে পারেন। এটাই আমাদের একসঙ্গে করে রেখেছে। দলের সবাই এখন এটা বিশ্বাস করে, আমরা একদল। দুই বছর ধরে ওরা একে অপরকে চেনে, সহযোগিতা করে। ওরা সবাই একসময় নতুন মুখ হয়ে এসেছিল। এটা নিশ্চিত করেছিলাম যে, যারা প্রথম দলে আসবে তাদের একে অন্যের হয়ে খেলার গুরুত্বটা বুঝবে। আমি দলের প্রতিটা খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফদের গুরুত্ব দিতে চাই। এটা আমাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল গড়তে সাহায্য করেছে।

প্রশ্ন: রাকিব-মোরসালিনরা তো তারকা হওয়ার পথে। মানুষ এখন তাদের আলাদা করে চেনে।

কাবরেরা: ওরা ওদের পজিশন অনুযায়ী ব্যতিক্রম। এটাই তাদের দায়িত্ব। অবশ্যই আমরা জানি রাকিব দলের জন্য কিছু করবে। কিন্তু বাকিদের ছাড়া রাকিবের করার উপায় নেই। আমি এই পয়েন্টটা বলতে চাচ্ছি। রাকিব বা মোরসালিন দারুণ ফুটবলার। ওরা কিছু করবে তবে দল হয়ে না খেলতে পারলে ওরা কিছু না। আমি এই প্রেক্ষাপটটা অনুশীলনে বুঝিয়েছি বারবার। দলের সবাই এখন এটা বুঝেছে, শুরু থেকে আমার পয়েন্ট ছিল এটাই।

হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে সকাল সন্ধ্যার ক্রীড়া সম্পাদক সনৎ বাবলা। ছবি: সকাল সন্ধ্যা

প্রশ্ন: অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পারফরম্যান্স কারও দেখার সুযোগ নেই। তার কী অবস্থা?

কাবরেরা: হ্যাঁ, ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। সে এখন ওই দলের (আর্জেন্টিনার ক্লাব দল) সঙ্গে প্রি-সিজনে আছে। কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। আমরা এখানে মৌসুমের মাঝামাঝিতে (লিগের) আছি। জামালের এখনও দলকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে। আমরা খুশি যে সে আবার দলে যোগ দেবে।

প্রশ্ন : আমরা একেবারে শেষ দিকে চলে এসেছি। আপনার নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট একটা রোডম্যাপ আছে। এই বছর শেষে বাংলাদেশকে কোথায় দেখতে চাইবেন?

কাবরেরা : আমরা কোনও সম্ভাবনাকেই বাতিল করতে চাই না। আমরা এখনও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে টিকে আছি। জুনে কী হয় দেখা যাক। আমরা যদি পরের রাউন্ডে যেতে না পারি তবে এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডে খেলব। সেটাও যথেষ্ট প্রতিদ্বান্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। প্রথমত আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপে কী হয় দেখতে হবে। আমাদের বড় উদ্দেশ্যের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ২০২৫-এ সাফ ফুটবল আছে। তার আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফিফা উইন্ডো আছে। ওই সময়ে আমরা বড় দলের বিপক্ষে খেলতে পারব। ওই সময়ের জন্য আমাদের আরও ফুটবলার খোঁজা দরকার, যারা বিপিএলে ভালো করছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য আমাদের সঠিক রোডম্যাপ হলো এ বছর আরও ইতিবাচক ফল আনা।

প্রশ্ন: এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ…

কাবরেরা : আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত