দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হয়েছিল কাতার বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচ। সেই ভেন্যুতেই মঙ্গলবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে লেবাননের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার পর এবারের প্রতিপক্ষ লেবানন। এই ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান বিশ্বনাথ ঘোষ-রহমত মিয়ারা। আরও স্পষ্ট করে বললে ৩ পয়েন্টে চোখ বাংলাদেশের।
লেবাননের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচের সুখস্মৃতি নিয়েই নিশ্চয় মাঠে নামবেন ফুটবলাররা। গত নভেম্বরে কিংস অ্যারিনায় ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘আই’তে এ পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের একমাত্র পয়েন্ট।
যদিও ১৩ বছর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে লেবাননকে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হারিয়েছিল। বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় সেটিই।
লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় দেখাটা হচ্ছে বিদেশের মাটিতে। লেবানন অবশ্য নিজেদের ‘হোম’ম্যাচ বৈরুতে খেলতে পারছে না। যুদ্ধ ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে খেলাটি হচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যু কাতারে। এটাকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
সোমবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “এখানে (কাতার) প্রচুর প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। আমার বিশ্বাস, তারা আমাদের সমর্থন জোগাতে স্টেডিয়ামে আসবেন। তাদের সামনে আমরা ইতিবাচক ফুটবল খেলতে পারব বলে বিশ্বাস করি। আমাদের লক্ষ্যই থাকবে ৩ পয়েন্ট নেওয়া।”
যোগ করেন, “এখানে সুযোগ-সুবিধা, প্র্যাকটিস মাঠ ও হোটেল মিলিয়ে সব কিছু অনেক ভালো। আশা করি, ভালো কিছুই হবে।”
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে জামাল বলেন, “লেবানন অল্প সময়ের মধ্যে তিনজন কোচ বদলেছে। বারবার কোচ পরিবর্তন করলে দলের মধ্যে গোছানো ভাবটা থাকে না। এ নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। তাদের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছি। মাঠে এখন আমাদের ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে হবে।”
লেবাননের বিপক্ষে এক বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ। এই এক বছরে যেহেতু লেবানন ৩ বার কোচ বদলেছে। তাই কাবরেরার কাছে এর অর্থ, দলটা কিছুটা অগোছালো থাকবে। সঙ্গে অবশ্য বলেছেন, “তবে এটা সমস্যাও। ওদের খেলোয়াড়ও বদল হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে আমরা সত্যিই মনে করি, ম্যাচটা আমরা জিততে পারি।”
সঙ্গে সমীহও জানিয়ে রাখলেন প্রতিপক্ষের প্রতি, “লেবাননের খেলোয়াড়েরা শারীরিকভাবে শক্তিশালী। ব্যক্তিগত স্কিলেও খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড় আছে তাদের।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলে ২-০ গোলে হারা ম্যাচ থেকেও কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। লেবাননের বিপক্ষে তাই ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখেন কোচ কাবরেরাও, “আমরা ভালো একটা ম্যাচ খেলতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলেছি, সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইতিবাচক ফুটবল খেলব। আমরা ৩ পয়েন্টই পেতে চাই। সেটি না হলেও যেন ম্যাচটা না হারি, সেটিই লক্ষ্য।।”
লেবাননের শক্তি বাংলাদেশ টের পেয়েছিল প্রথম সাক্ষাতেই। ২০১১ সালে ঢাকায় লেবাননকে হারালেও বৈরুতের অ্যাওয়ে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। ঠিক এক বছর আগে বেঙ্গালুরুর সাফে পুরো ম্যাচ ভালো খেলেও লেবাননের বিপক্ষে হারতে হয় ২-০ গোলে। তবে এবার জয় ছাড়া কিছু ভাবছেই না বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচটি জিততে পারলে গ্রুপে তৃতীয় হওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের।