এশিয়ান গেমসের বাছাই পর্বে খেলার আগে ১৯ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। অথচ বাংলাদেশ সৌদি আরবে গিয়ে কোনও ম্যাচই খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। ঢাকা ছাড়ার আগে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেছিলেন, সুদানের বিপক্ষে ৮ মার্চ একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ম্যাচটিও খেলা অনিশ্চিত বাংলাদেশের।
সৌদি থেকে বাফুফের পাঠানো এক বার্তায় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, “সুদান দলের সঙ্গে আজ (শনিবার) খেলা হওয়ার কথা ছিল। সুদানের কোচ ৮ বা ৯ মার্চের মধ্যে একদিন আমাদের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল। গতকাল রাতেও খেলার কথা জানিয়েছিল। তবে সকালে তারা জানিয়েছে আজ খেলতে পারছে না। পরবর্তীতে তারা সময় জানাবে।”
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতির জন্য সুদানের ম্যাচটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ কোচের অনেক পরিকল্পনা থাকলেও খেলা হয়নি। আগামীকাল বা কখন খেলা হবে সেটা নির্ভর করছে মূলত সুদানের ওপরই। এখন পর্যন্ত নাকি সুদান খেলার ব্যাপারে ইতিবাচক। যদি শেষ পর্যন্ত খেলা না হয়, তাহলে বাংলাদেশের সৌদি সফর ও প্রস্তুতিতে ঘাটতি পড়বে।
ভিসা বিলম্বে পাওয়ায় একদিন পর সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। একদিন পিছিয়ে পড়লেও এতে সমস্যা দেখছেন না তিনি, “আমি দলের সঙ্গে ঢাকায়ও অনুশীলন করেছি। ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে এসে আবার অনুশীলন শুরু করেছি।”
বাংলাদেশ দল গত বছরের এই সময়ে তায়েফে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে। এবার আবহাওয়া একটু বেশি শীতল মনে হয়েছে রহমতের, “আমরা গত বছরও এখানে অনুশীলন করেছি। তখন এত ঠান্ডা অনুভূত হয়নি এবারের মতো। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচকই হবে, ভারতের শিলংয়ে সন্ধ্যায় এরকম আবহাওয়া থাকবে।”
ভারত ম্যাচের আর সপ্তাহ দু’য়েক বাকি। তাই প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন, “আমরা ভারতের দুর্বল দিক চিহ্নিত করে অনুশীলন করছি । সৌদিতে এসে আমরা শুরুতে এখানকার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, এরপর থেকে আমরা টেকনিক্যাল দিকগুলোর দিকে যাচ্ছি। আজকে দুইটা ভিডিও সেশন ছিল, সেখানে ভারতের দুর্বল দিকগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সেটা নিয়ে কাজ করেছি। পাশাপাশি সামনের সেশনগুলো আসবে, ওরা যে জায়গাগুলোতে শক্তিশালী, ওই জায়গাগুলো আমরা কিভাবে প্রতিরোধ করব, সেটা নিয়ে কাজ হবে ।”