১৭ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জুতা রপ্তানিতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ; এই প্রথম এই খাত থেকে আয় ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়াল।
এতদিন চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে বিদেশি মুদ্রা আসত; এখন চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিতেও বড় চমক দেখিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক আরোপের সুফল এক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা। তারা আশা করছেন, আগামীতে রপ্তানি আরও বাড়বে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ১১১ কোটি ৪৫ লাখ (১.১১ বিলিয়ন) ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।
বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা) হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৩ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা।
এই আয় গত অর্থ বছরের একই সময়ে চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এই ১১ মাসে ৮৬ কোটি ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছিল।
১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয়ের মধ্যে চামড়ার জুতা থেকে এসেছে ৬২ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি এসেছে ২৯ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এই ১১ মাসে ৪৮ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের চামড়ার জুতা রপ্তানি হয়েছিল।
অন্যদিকে এই জুলাই-মে সময়ে চামড়াবিহীন জুতা বা নন–লেদার ফুটওয়্যার রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এই ১১ মাসে ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের নন–লেদার জুতা রপ্তানি হয়েছিল।
চামড়ার জুতা
ঢাকা নগরীর হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত চামড়া শিল্পনগরীর হাজার সমস্যা থাকলেও চামড়ার জুতা রপ্তানিতে সুবাতাস বইছিল। এমনকি কোভিড মহামারীর মধ্যেও জুতা রপ্তানি বাড়ছিল।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় চামড়ার জুতার বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওযায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়। তখন বাংলাদেশের জুতা রপ্তানিতেও ভাটা পড়ে।
এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসায় সে সব দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সে কারণে অন্যান্য পণ্যের মতো জুতার চাহিদাও বেড়েছে বলে মনে করছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।
ইপিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে ৫৬ কোটি ৯৯ লাখ ডলার আয় করেছিলেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে সেই রপ্তানি প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে ৭৫ কোটি ৬২ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ওই অঙ্ক ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে জুতা রপ্তানি থেকে সর্বাধিক আয়।
তবে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এই খাত থেকে আয় ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৬৯ দশমিক ৩২ লাখ ডলারে নেমে আসে। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে নেমে আসে।
তবে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের শুরু থেকেই চামড়ার জুতা রপ্তানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অর্থ বছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ অর্ধেক সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) আয় হয়েছিল ৩৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে সেই আয় বেড়ে হয়েছে ৬২ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার হয়েছে।
গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে এই আয় প্রায় ২৯ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জুলাই-মে সময়ে আয় হয়েছিল ৪৮ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।
সবশেষ মে মাসে চামড়ার জুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই মাসে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের জুতা রপ্তানি হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
তবে চামড়া ও চামড়া নিয়ে তৈরি অন্যান্য পণ্য রপ্তানি কমেছে। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-মে সময়ে চামড়া রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গত অর্থ বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। কমেছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এই ১১ মাসে চামড়া দিয়ে তৈরি অন্যান্য পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত অর্থ বছরের একই সময়ে আয়ের অঙ্ক ছিল ৩২ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার। কমেছে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে চামড়ার জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারত ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টাদশ। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রতি বছর চামড়া খাত থেকে যে বিদেশি মুদ্রা দেশে আসে, তার প্রায় ১৫ শতাংশ রপ্তানি করে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। প্রতিষ্ঠানটি জার্মানি, ইতালিসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে জুতা রপ্তানি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেও জুতা রপ্তানি শুরু করেছে অ্যাপেক্স।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্য পণ্য কিনছিল না তারা। তার প্রভাব আমাদের জুতা রপ্তানিতেও পড়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। ওই সব দেশের মূল্যস্ফীতি কমেছে; মানুষ আগের মতোই কেনোকাটা করছে। সে কারণে জুতা রপ্তানি বাড়ছে।”
তবে সাভার চামড়া শিল্পনগরী নিয়ে ক্রেতারা এখনও খুশি নয় জানিয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, ওখানকার চামড়া দিয়ে কোনও পণ্য উৎপাদন করলে ক্রেতারা কেনেন না। তাই বাধ্য হয়ে শিল্পনগরীর বাইরে তৃতীয় কোনও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাঁচামাল কিনে পণ্য উৎপন্ন করে থাকেন রপ্তানিকারকরা।
আকিজ ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রত্যয় পারভেজ বলেন, চীনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে কিছু কার্যাদেশ বাংলাদেশে চলে আসছে। চীন ও ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক দামে চামড়ার জুতা বিক্রি করতে পারে বলে রপ্তানি বেড়েছে।
তিনি বলেন, “ইউরোজোন, উত্তর আমেরিকা ও জাপানের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের চামড়ার জুতা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করায় আগামী বছরগুলোতে রপ্তানি আরও বাড়বে।”
জুতা উৎপাদক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জেনিস সুজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির খান বলেন, সরকার যদি জুতা প্রস্তুতকারকদের সহযোগিতা করে, তাহলে রপ্তানি আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।
চামড়াবিহীন জুতা
ফ্যাশনেবল, টেকসই ও সাশ্রয়ী দামের কারণে চামড়াবিহীন জুতা বা নন–লেদার ফুটওয়্যারের চাহিদা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকেও এই পণ্যের রপ্তানি কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বিদায়ী অর্থ বছরের শুরু থেকেই রপ্তানিতে বড় চমক দেখিয়ে চলেছে চামড়াবিহীন জুতা।
এই অর্থ বছরের জুলাই-মে সময়ে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের একই সময়ে ৩৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি হয়েছিল।
চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে মহামারির আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ ধরনের জুতা রপ্তানি ছিল ২৭ কোটি ডলার। রপ্তানির বেশিরভাগই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপের মানুষ খুব প্রয়োজন নয়, এমন জিনিসপত্র কেনাকাটা কমিয়ে দেন।
সে কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি কমে যায়। মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে পরের অর্থ বছর রপ্তানি সামান্য বাড়ে।
অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ জুতা রপ্তানির দেশ চীন থেকে বিভিন্ন কারণে ক্রয়াদেশ সরাচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সে জন্য বিদায়ী বছর বাড়তি ক্রয়াদেশ পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মহামারির আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ২৭ কোটি ডলার।
পরের তিন বছরে সেটি বেড়ে ৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর দেশগুলোয় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পরের বছর রপ্তানি কমে ৩৮ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। তারপর আবার বাড়তে থাকে।
অবশ্য জুতা রপ্তানিতে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা এখনো খুবই কম। জুতা রপ্তানিতে চীন সবার ওপরে। বিশ্বে মোট জুতা রপ্তানির ৬০ শতাংশ করে দেশটি। এরপর রয়েছে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, তুরস্ক, ভারত, বেলজিয়াম, ইতালি, কম্বোডিয়া ও স্পেন।
ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৩ সালে ২ হাজার ২৪০ কোটি জোড়া জুতা উৎপাদিত হয়েছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৪০০ কোটি জোড়া জুতা রপ্তানি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬৮ বিলিয়ন বা ১৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। আর রপ্তানি হওয়া জুতার বড় অংশই চামড়াবিহীন। বিদায়ী ২০২৪ সালের জুতা উৎপাদন ও রপ্তানির তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
২০২৩ সালে বৈশ্বিক জুতা রপ্তানির ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল চীনের দখলে। দেশটি ওই বছর রপ্তানি করে ৮৯৬ কোটি জোড়া। তারপরের শীর্ষ ৯ দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম ১৩৪ কোটি জোড়া, ইন্দোনেশিয়া ৪৫, জার্মানি ৩৫, তুরস্ক ৩০, ভারত ২৬, বেলজিয়াম ২২, ইতালি ১৯, কম্বোডিয়া ১৬ কোটি ও স্পেন ১৫ কোটি জোড়া জুতা রপ্তানি করেছে।
জুতা রপ্তানিতে শীর্ষ দশে না থাকলেও বিশ্বে পণ্যটির শীর্ষ ভোক্তা দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। এ ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় ভারত।
২০২৩ সালে চীনে ৩৫৩ কোটি জোড়া, ভারতে ২৫৬, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩, ব্রাজিলে ৭৭ ও জাপানে ৬১ কোটি জোড়া জুতার চাহিদা ছিল। সে বছর বাংলাদেশে জুতার চাহিদা ছিল ৩৫ কোটি জোড়া।
দেশে চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানির জন্য ময়মনসিংহের ভালুকায় কারখানা গড়ে তুলেছে ন্যাশনাল পলিমার (এনপলি) গ্রুপ। এনপলি ফুটওয়্যার (আগের নাম শুনিভার্স ফুটওয়্যার) কারখানাটিতে মাসে ৩ লাখ ৬০ হাজার জোড়া জুতা উৎপাদন হয়। মাসে রপ্তানি ২৫ লাখ ডলারের জুতা। এখানে কাজ করেন ৩ হাজার শ্রমিক।
রপ্তানিতে সম্ভাবনা থাকায় চলতি বছরের শুরুতে সক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান এনপলি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ মাহমুদ।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কারখানার পুরো সক্ষমতা অনুযায়ী ক্রয়াদেশ রয়েছে। আগামী দিনে এমন ক্রয়াদেশ থাকলে কারখানা দুই শিফটে চালানোর পরিকল্পনা করছি আমরা। তাতে উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।
“করোনার ধাক্কার পর চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরানো শুরু করেন অনেক বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। সেটির সুফল আমরা কিছুটা পেয়েছি। ট্রাম্প শুল্কের ধাক্কায় চীন থেকে নতুন করে ক্রয়াদেশ আসছে। তুলনামূলক সস্তা শ্রম থাকায় বাংলাদেশের দিকে নজর আছে। চীনা ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন।”
“রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে বিনিয়োগও আসবে। চামড়াবিহীন জুতাকে আগামী দিনে বড় রপ্তানি খাত হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের ভেতরে জুতার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া দক্ষ লোকবল গড়ে তোলায়ও জোর দিতে হবে,” বলেন রিয়াদ।