বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে, নানা কাজে বাংলাদেশে থাকা বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান। তার সঙ্গে আলাপকালেই এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বৈঠকের শুরুতে হাইকমিশনার বাংলাদেশে অবস্থানরত কানাডাসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চান।
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশিদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। আমরা তাদের জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।”
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব শিগগিরই আরও সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে সরকার।
সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়েও লিলি নিকোলস উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী মায়ানমার নাগরিকসহ সেখানে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিও কর্মী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও বাংলাদেশ অনেক বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখন সময় এসেছে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ও অন্য দেশে পুনর্বাসন করা।
তিনি কানাডাতে কিছু রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ করেন।
লিলি নিকোলসের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ সংস্কারের বিষয়ে কানাডার সহায়তা চান উপদেষ্টা। এছাড়া কৃষি খাতের আধুনিকায়ন নিয়েও কথা হয়।
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় উপদেষ্টা হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জবাবে হাইকমিশনার এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ। কিন্তু অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও চিঠি পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।
বৈঠকে কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মার্কুস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার অ্যান্ড কাউন্সেলর দেভরা ভয়েসসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
