দুই বছর আগে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকে কি শুরু করতে পারলো? নারী সাফের ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ রবিবার কোনও রকমে পাকিস্তানের সঙ্গে হারতে হারতে ১-১ গোলে ড্র করেছে।
ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রাখলো যোগ হওয়া সময়ের শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোল।
ভারতের কাছে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ৫-২ গোলে। তাই এই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতলেই পৌঁছে যেত সেমিফাইনালে। কিন্তু এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে পুরোটা সম
গোলাম রব্বানী ছোটন পরবর্তী এই বাংলাদেশ দলে কোথায় যেন সুর কেটে গেছে। মেয়েদের ফুটবলের যে সুর, তাল, লয় ছিল সেটা ঠিকঠাক ধরতে পারছেন না কোচ পিটার বাটলার।
সেই কারণেই কিনা কৃষ্ণা রানী সরকারকে একাদশে রাখেননি। মারিয়া মান্দাকেও রেখেছেন একাদশের বাইরে। যে বাংলাদেশ দলে রক্ষণে ছিল আঁখি খাতুনের মতো ফুটবলার, আক্রমণভাগে সিরাত জাহান স্বপ্না। দুজনের অবসরের পর এই দলটাতেও যেন আত্মবিশ্বাস গেছে তলানিতে।
সাবিনা খাতুন যে পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আগের সাফে তাকে খুঁজে পাওয়া গেল না আজ। শেষ দিকে এসে তো কোচ তাকে তুলে বদলি নামালেন কৃষ্ণাকে।
পুরো ম্যাচে যা খেলেছেন মনিকা চাকমা। যে কারণে ম্যাচের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও পেলেন। তার সঙ্গে ঋতুপর্ণা চাকমার কার্যকর কিছু ক্রস ছিল। কিন্তু তহুরা খাতুন, জুনিয়র শামসুন্নাহার গোলে অনুবাদ করতে পারেননি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে পুরো সময় বাংলাদেশের মেয়েরা আক্রমণে থেকেছে। কিন্তু ধারার বিপরীতে ৩১ মিনিটে খেয়েছে গোল। মাঝ মাঠ থেকে আসা বলটি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ডিফেন্ডার শিউলি আজিম। তার কাছ থেকে বল নিয়েই সামিন মালিক দিয়েছেন গোল (১-০)।
ম্যাচে যতোই সময় গড়িয়েছে ততোই বাংলাদেশ চাপে পড়েছে। গোল বের করার যতোটা চেষ্টা সবই ছিল। কিন্তু রক্ষণে যেন চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তান ডিফেন্ডাররা। ৪৩ মিনিটে তো ঋতুপর্ণার শট ক্রসবারে লেগে ফেরে! ৫৯ মিনিটে ঋতুপর্ণার নেওয়া শটে তহুরা হেড করতে পারেনি। এরপর ৭২ মিনিটে মনিকার শট হাত ফসকে বেরিয়ে গেলে কিন্তু কেউ শট নেওয়ার মতো কেউ ছিল না।
ম্যাচের শেষ দিকে মারিয়া মান্দা ও মোসাম্মৎ সাগরিকাকে নামিয়ে চেষ্টা ছিল গোল বের করার। যোগ হওয়া সময়ে কোচের কৌশল সফল হয়। ঋতুপর্ণার শট থেকে জটলায় গোল করেন শামসুন্নাহার (১-১)। এই গোলে যেন অক্সিজেন ফিরল দলে।
কখনও কখনও ফুটবল খুব নিষ্ঠুর হয়। ম্যাচ শেষে সেই কথাটা বলে গেলেন কোচ পিটার বাটলার। তারপরও ২৩ অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। অন্তত ড্র করলেও যেতে পারবে সাফের সেমিফাইনালে।