১৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১টিই বল করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অবশ্য ৩ উইকেট আছে তার। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে সেই জয়ের বোলিং জাদুতে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পেল বাংলাদেশ এইচপি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন জয়। তার বোলিং ফিগার ১৩-১-২১-৫। দৃঢ় নেতৃত্ব, দুই ইনিংসে ফিফটির পর বল হাতে ৫ উইকেট-এর চেয়ে ভালো আর কী চাইতে পারতেন জয়।
চার দিনের ম্যাচটিতে জয়ের জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ২৯৬ রান। কিন্তু আজ শেষ দিনে ২৯০ রানে অলআউট হয় তারা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৫৮ রানের জবাবে শাহিনসখ্যাত পাকিস্তান ‘এ’ অলআউট হয়েছিল ১৭৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২১৬ রান। দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ত্রাতা অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান। এছাড়া আইচ মোল্লা করেন ৫৮। মোহাম্মদ আলী নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
জয়ের জন্য পাকিস্তান ‘এ’র দরকার ছিল ২৯৬ রান। দুই ওপেনার হাসিবউল্লাহ ও শাহিবজাদা ফারহানের ৯৬ রানের জুটিতে দৃঢ় ভিত পেয়েছিল পাকিস্তান। ৬৮ করা অধিনায়ক শাহিবজাদাকে স্টাম্পিং করে জুটিটা ভাঙেন মাহমুদুল হাসান জয়। বিনা উইকেটে ৯৬ থেকে ১০০ রানে ৩ উইকেটে পরিণত হয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান ‘এ’ দল।
নিজের টানা দুই ওভারে কামরান গুলাম (০) ও উমর আমিনকে (০) ফেরান রেজাউর রহমান রাজা। ৫১ রান করা ওপেনার হাসিবউল্লাহকেও ফেরান রেজাউর।
ষষ্ঠ উইকেটে তৈয়ব তাহির (৪৩) ও ওমাইর বিন ইউসুফের (৪৫) ৬৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তান। দুজনকেই ফেরান জয়। তারপরও ৮ উইকেটে ২৮৮ রান করা পাকিস্তান জয়ের পথে ছিল ম্যাচটিতে। ২৮ রান করা খুররম শাহজাদকে ফিরিয়ে আবারও বাংলাদেশের আশা জাগান জয়। আর ফয়সাল আকরামকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন হাসান মুরাদ।
প্রথম চারদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ এইচপি হারলেও দারুণ জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজটা শেষ করল বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন জয়।
বাংলাদেশ এইচপি : ২৫৮ ও ৭০.১ ওভারে ২১৬ (জয় ৬৫, আইচ ৫৮, শাহদাত ৩৩ ; আলি ৬/৬৩,খুররাম ৩/৬৭)।
পাকিস্তান ‘এ’ : ১৭৯ ও ৯৩.২ ওভারে ২৯০ (শাহিবজাদা ৬৮, হাসিবউল্লাহ ৫১, ইউসুফ ৪৫; জয় ৫/২১, রাজা ৩/৮৫, হাসান ২/৬২)।
ফল : বাংলাদেশ এইচপি ৫ রানে জয়ী।