যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের বাজারেও পোশাক রপ্তানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি) ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ৮০৭ কোটি (৮.০৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
আর এই প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ইইউতে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনকে প্রায় ধরে ফেলেছে বাংলাদেশ। জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে চীন ইউরোপের বাজারে ৮৩৮ কোটি (৮.৩৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অফিস (ইউরোস্ট্যাট) এই তথ্য দিয়েছে। সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে পরিমাণের দিক দিয়ে ইউরোপে চীনের চেয়ে বাংলাদেশের বেশি পোশাক রপ্তানি হলেও টাকার অঙ্কে (ডলার) সব সময়ই চীন শীর্ষে ছিল। তবে একবার নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে ১৩৩ কোটি কেজি তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছিল। চীনের রপ্তানি ছিল ১৩১ কোটি কেজি।
আর ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলো ৯০০ কোটি (৯ বিলিয়ন) ডলারের নিট পোশাক নিয়েছিল। একই সময়ে চীন থেকে তারা ৮৯৬ কোটি (৮.৯৬ বিলিয়ন) ডলারের নিট পোশাক আমদানি করে।
ওই বছরের নয় মাসের হিসাবে প্রথমবারের মতো ইইউতে বাংলাদেশের নিট পোশাক রপ্তানি চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দাম ও পরিমাণ— উভয় ক্ষেত্রেই ওই নয় মাসে ইইউতে শীর্ষ নিট পোশাক রপ্তানিকারক দেশ ছিল বাংলাদেশ।
তবে সামগ্রিক হিসাবে পোশাক (ওভেন+নিট) রপ্তানিতে সব সময়ই চীন বাংলাদেশের উপরে ছিল।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দুটি উপখাত হচ্ছে ওভেন ও নিট। পোশাক রপ্তানি শুরু হওয়ার পর থেকেই ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে বেশি-বিদেশি মুদ্রা দেশে আসত। বেশ কয়েক বছর রপ্তানি বাণিজ্যে এই দুই খাতের অবদান ছিল কাছাকাছি।
কিন্তু করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ওভেনকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে আসে নিট খাত। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
দিন যত যাচ্ছে, রপ্তানি আয়ে ওভেনের চেয়ে কম দামি নিট পোশাকের অবদান ততই বাড়ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করে ৩৬ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। আর ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পোশাকই আসলে নিট পোশাক। সাধারণ কথায় গেঞ্জির কাপড়ের তৈরি পোশাকই নিট। যেমন টি-শার্ট, পলো শার্ট, সোয়েটার, ট্রাউজার, জগার, শর্টস প্রভৃতি। ঘরোয়া পরিবেশে সাধারণত টি-শার্ট, পলো শার্ট, শ্যান্ডো গেঞ্জি, ট্রাউজারজাতীয় পোশাক বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। আরামদায়ক হওয়ায় সারা বিশ্বেই রয়েছে এ ধরনের পোশাকের জনপ্রিয়তা।
অন্যদিকে শার্ট, প্যান্ট, স্যুট-ব্লেজারজাতীয় ফরমাল পোশাক হচ্ছে ওভেন ক্যাটারির পণ্য।
২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার। মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে এই বাজার থেকে।
নানা বাধাবিপত্তির মধ্যেও বড় বড় বাজারে রপ্তানি বাড়ায় খুবই খুশি এ খাতের রপ্তানিকারকরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতি অর্থাৎ ট্রাম্প শুল্কের ধাক্কা এবং ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শেষ পরিণতি কী হবে, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সবাই।
পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে গত বছরের শেষ দিকে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেশ কমে গিয়েছিল। ২০২৪ সালের নয় মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ নেতিবাচক (ঋণাত্মক) প্রবৃদ্ধি ছিল।
অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে ইউরাপের বাজারে পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা ২০২৩ সালের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ কম আয় করেছিলেন। আর তাতে রপ্তানিকারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল।
তবে বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রপ্তানি বাড়ায় শেষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়েছিল বছর। ২০২৪ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে মোট ১ হাজার ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ (১৯.৭৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল।
আগের বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ৫৭ লাখ (১৮.৮৫ বিলিয়ন) ডলার।
২০২৫ সাল শুরু হয় বড় উল্লম্ফন নিয়ে। ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, এই বছরের প্রথম দুই মাসেই (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পমালিকরা ৩৬৯ কোটি ৩৩ লাখ (৩.৬৯ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেন। ওই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি।
তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) রপ্তানির পরিমাণ ৫৯৭ কোটি ৬১ লাখ (প্রায় ৬ বিলিয়ন) ডলার; প্রবৃদ্ধি ছিল ২৯ শতাংশ।
সবশেষ চার মাসের (জানুয়ারি-এপ্রিল) হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ শতাংশ; রপ্তানির অঙ্ক ৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ৮ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এই চার মাসে চীন ইউরোপের বাজারে ৮৩৮ কোটি (৮.৩৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, রপ্তানির অঙ্কের দিকে দিয়ে চীন ছাড়া অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের ধারেকাছেও নেই। প্রবৃদ্ধির দিকে দিয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
ইইউতে রপ্তানি কার কত
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) ইইউর কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ হাজার ২৪৮ কোটি ৯০ লাখ (৩২.৪৯বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। এই আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
ইইউতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চীন সবার শীর্ষে। তৃতীয় তুরস্ক; তবে তুরস্কের পরিমাণ পরিমাণ বাংলাদেশেল অর্ধেকেরও কম।
জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে চীন ইউরোপের বাজারে ৮৩৮ কোটি ৭৬ লাখ (৮.৩৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে; যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের এই চার মাসে চীনের রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৬ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।
তবে এই বাজারে তুরস্কের রপ্তানি কমেছে; ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ নেতিবাচক (ঋণাত্মক বা নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে তুরস্ক ইউরোপে ৩১০ কোটি ৩৮ লাখ (৩.১০ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৪ সালের এই চার মাসে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।
ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ভারত ইউরোপের বাজারে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এই চার মাসে দেশটি ইউরোপে ১৫৫ কোটি ৬৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে তাদের রপ্তানির অঙ্ক ছিল ১ দশমিক ১৮ বিলিযন ডলার।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ; রপ্তানি হয়েছে ১৪৭ কোটি ৫৭ লাখ (১.৪৭ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক।
পাকিস্তানের রপ্তানির অঙ্ক ১৪২ কোটি ২৪ লাখ (১.৪২ বিলিয়ন) ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
এছাড়া জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ইউরোপের বাজারে শ্রীলঙ্কার রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং মরক্কোর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ।
২০২৪ সালে ইউরোপের কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে ৯২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছিল, যা ছিল ২০২৩ সালের চেয়ে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি।
গত বছর চীন ইউরোপের বাজারে ২৬ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল; যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।
তবে গত বছর এই বাজারে তুরস্কের রপ্তানি বেশ খানিকটা কমেছিল; ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছিল ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
ভারতের বেড়েছিল প্রায় ২ শতাংশ। কম্বোডিয়ার বেড়েছিল ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অন্য দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের বেড়েছিল ৪ দশমিক ২১ শতাংশ। পাকিস্তানের বেড়েছিল ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ। মরক্কোর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আশার সঙ্গে শঙ্কা
অস্থিরতার মধ্যেও ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরপরও রপ্তানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। ২০২৫ সালটা ভালোই শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
“অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে আমরা নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর অনেক পোশাক কারখানায় হামলা-ভাংচুর করা হয়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস সঙ্কট লেগেই আছে। অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা না থাকলে আমাদের রপ্তানি আরও বাড়ত।”
তবে এই ধারা টেকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাতেম বলেন, “জানি না আগামী মাসগুলোতে কী হবে? বিশ্বজুড়ে রীতিমতো বাণিজ্যযুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে ঝড় তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ। এসবের পরিণতি কী হবে, তা আমরা পরিষ্কার কিছুই বুঝতে পারছি না।”
তিনি বলেন, “ট্রাম্প শুল্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিন মাস স্থগিতের পরও যে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তাতে আমাদের ক্ষতি হতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের এক পোশাক ব্যবসায়ী কয়েক দিন আগে আমাকে বললেন, ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের কারণে তাকে ২ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।
“এর মানে ট্রাম্প শুল্কের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামী দিনগুলোতে বেশ ভালোভাবেই পড়বে। যদি কোনও সম্মানজনক সমাধান না হয়, ১০ শতাংশ শুল্কও যদি দিতে হয়, তারপরও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্নির্ধারণ করে দেন। তাতে বাংলাদেশের পণ্যে নতুন করে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়, যা এতদিন ছিল ১৫ শতাংশ।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অনুরোধে ১০ এপ্রিল চীন ছাড়া অন্য সব দেশের পাল্টা শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই সময় দেশগুলোর পণ্যে পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
১০ জুলাই সেই সময় শেষ হবে। তার পর কী হবে? সময় আরও বড়বে কি না? নাকি ট্রাম্প ঘোষিত ৯০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ হবে—এ সব নিয়ে বিচলিত এখন সরকার ও রপ্তানিকাররা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের ৬৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব। পোশাকের বৈশ্বিক বাজারের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে র্যাপিড।
বর্তমান অবস্থায়ও ইইউতে বাড়তি ১৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে র্যাপিড।