ঠিক প্রথম ম্যাচের সঙ্গে মেলানো যাবে না দ্বিতীয় ম্যাচের। র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে প্রথম ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যেন জুজুর ভয় লেগে ছিল বাংলাদেশ দলের। সেই দলটাই প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ৪-০ গোলে। তাও আবার গোল খাওয়ার ধরণগুলোও যেন এই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যাচ্ছিল না।
অবশেষে সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে খুঁজে পাওয়া গেল ছন্দময় লড়াকু মানসিকতার এক বাংলাদেশকে। যদিও বাংলাদেশ ১৮ মিনিটে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ে। তবে এরপর থেকেই যেন বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশকে দেখল। বাকি সময়ে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে চাইনিজ তাইপের মেয়েদের সঙ্গে।
সাবিনা খাতুনকে বাদ দিয়ে দিনের শুরুতেই বড় পরিবর্তনের আভাস দিয়ে রেখেছিলেন কোচ পিটার জেমস বাটলার। ১৪ বছর পর জাতীয় দলের একাদশ থেকে বাদ পড়েন এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। তাও কোনও চোটের কারণে নন, পারফরম্যান্সের জন্য। শুধু সাবিনাই নন, সানজিদা আক্তার, মাসুরা পারভীন-কাউকেই কোচ এদিন একাদশে রাখেননি। যদিও ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে সাবিনাকে নামিয়েছিলেন কোচ তহুরা খাতুনের বদলে।
নতুনদের ওপর আস্থা রাখলেন কোচ। প্রথম গোল খাওয়ার পর আবার আনাই মগিনিকে তুলে মাঠে নামালেন নীলুফার ইয়াসমিনকে। স্টপার থেকে রাইট ব্যাকে খেলালেন তাকে। মাঝমাঠে মনিকাও এদিন বেশ সপ্রতিভ। বেশ কয়েকবার বক্সে ঢুকে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। ঋতুপর্ণা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহাররাও বেশ কয়েকবার বক্সে ঢুকে খেই হারিয়েছেন। সুযোগ পেয়েও সহজ কিছু গোল মিস করেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার বদলে পুরোটাই অলআউট খেলেছে বাংলাদেশ। আর এখানেই কোচ পেয়েছে সাফল্য। যদিও গোলটা পাওয়া হয়নি শুধুই অভিজ্ঞতা ও শারীরিক গড়নে পিছিয়ে থাকায়।