Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সশস্ত্র বাহিনীকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সংসদ অধিবেশন। ফাইল ছবি
সংসদ অধিবেশন। ফাইল ছবি
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার ইস্যুতে সশস্ত্র বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদকে আরও জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিষয়টি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আইনমন্ত্রী সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।

মজিবুল হক তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী-সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সেখানে (বাংলাদেশি সীমানায়) কিছু গোলাও পাওয়া গেছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বোধহয় বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জানতে চাই, আমাদের বর্ডার এবং স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে আপাতত একটা স্কুলে রাখা হয়েছে।”

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও আলোচনা হবে। গতকালকে (রবিবার) যেটা হয়েছিল। মর্টার সেলে আমাদের একজন মারা গেছে। ওদেরও একজন মারা গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”   

মিয়ানমারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারামিলিটারী বাহিনী (বিজিবি) রয়েছে, তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।”

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত