মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে শুক্রবার আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায়।
বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারে দুপক্ষে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। এর জের ধরে ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী এলাকায় শুক্রবারও গুলি এসে পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে সীমান্ত পরিস্থিতি দুই দিন শান্ত ছিল। বৃহস্পতিবার ঘুমধুমের নয়াপাড়ায় একটি ‘রকেট লঞ্চার’ উদ্ধার হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেটি নিস্ক্রিয় করার পর নয়াপাড়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কর্মকর্তা লে. কর্নেল আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হচ্ছে। এর জের ধরে এপারে গুলি এসে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি গত বুধবার থেকে শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত শান্ত ছিল। সীমান্তের ওপারের কোনও বিস্ফোরণের শব্দ পায়নি এপারের মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেলেও শুক্রবার কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি।
তিনি বলেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজর পাড়া সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এই শব্দ আর শোনা যায়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকার ধানক্ষেতে আরও একটি অবিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় এক নারী সেটি দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে ঘুমধুম-তুমব্রু রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন বিজিবির সদস্যরা।
৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার
সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের মধ্যেই মিয়ানমার থেকে টেকনাফে ঢুকছে মাদক। শুক্রবার সকালে তিন লাখ ইয়াবা ও এক কেজি আইস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।