ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসানের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বোলিংয়েও আলো ছড়ালো বাংলাদেশ। তাতে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের পথে বড় ধাপ ফেলল নাজমুল হোসেন শান্তরা। ডাচদের হারিয়েছে ২৫ রানে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কিংসটাউনের আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ১৫৯ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডাচরা করতে পারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান।
১২:১৩- বাংলাদেশের তিনে তিন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবার নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তিনবারই জয়ের হাসি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের প্রথমবার সাক্ষাৎ হয় দুই দলের। ভারতের ওই আসরে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৮ রানের জয়। এরপর ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ডাচদের হারিয়েছিল ৯ রানে। এবারের ব্যবধান আরেকটু বড়। জিতেছে ২৫ রানে।
যদিও ১৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। ডাচদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে জয়ের পাল্লা কিছুটা হলেও হেলে ছিল তাদের দিকে। তবে রিশাদের ম্যাজিক্যাল দুই ওভারে ম্যাচ চলে আসে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। এই স্পিনার ৪ বলের মধ্যে তুলে নেন ৩ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে রিশাদ পেয়েছেন ৩ উইকেট। তাসকিন ৪ ওভারে ৩০ রানে নেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজ ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১২ রান।
যদিও ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে সাকিবের হাতে। বাঁহাতি অলরাউন্ডার ব্যাটিংয়ে চাপের মধ্যে খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস।
এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে এখন দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত শান্তদের। হারলেও পরের রাউন্ডে চলে যাবে, যদি শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা নেদারল্যান্ডস।
১১:৫৫- চলছে রিশাদ-ম্যাজিক
আগের ওভারের শেষ বলে উইকেট পেয়েছিলেন। পরের ওভারের প্রথম বলেও পেলেন উইকেট। তাতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রিশাদ। সেটি না হলেও ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন এই লেগ স্পিনার। তার ম্যাজিকে জয় দেখছে বাংলাদেশ।
লোগান ফন বিককে আউট করেছেন রিশাদ। স্লগ সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে উইকেট উদযাপন করেন বাংলাদেশি স্পিনার।
১১:৫০-মোস্তাফিজের উইকেট
এঙ্গেলব্রেখটের আউটের পর আশার আলো হয়ে জ্বলে ছিলেন এডওয়ার্ড। তবে ডাচ অধিনায়ককে স্থায়ী হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। তার বল কাট করতে গিয়ে থার্ডম্যানে জাকেরের হাতে ধরা পড়েছেন এডওয়ার্ড। আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে করেছেন ২৫ রান।
১১:৪২- রিশাদ এনে দিলেন উইকেট
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন এঙ্গেলব্রেখট। অধিনায়াক এডওয়ার্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফিরিয়েছেন রিশাদ হোসেন। সেই উদযাপন শেষ হতে না হতেই আবারও উইকেট পেয়েছেন এ স্পিনার।
১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে এঙ্গেলব্রেখট আউট হয়েছেন কভারে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে। ফেরার আগে ২২ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর ষষ্ঠ বলে আবার উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। এবার রানের খাতা না খোলা বাস ডি লিডিকে ফিরিয়েছেন লিটন দাসের স্টাম্পিং বানিয়ে। তার জোড়া আঘাতে চাপে ডাচরা।
১১:৩৪- তাসকিনের বলে ৯২ মিটার ছক্কা
আগের দুই ওভারে ছন্দময় বোলিং করেছেন তাসকিন। তবে তৃতীয় ওভারে এসে খেই হারালেন এই পেসার। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে আসা তাসকিনের এক ডেলিভারিতে ৯২ মিটার ছক্কা হাঁকিয়েছেন এঙ্গেলব্রেখট। তার শর্ট ডেলিভারি পুল করে স্টেডিয়ামের বাইরে ফেলেছেন ডাচ ব্যাটার। এর আগে একটি বাউন্ডারিও হজম করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে এই ওভারে খরচ করেছেন ১১ রান।
১১:১৯- ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ
ভয় ছড়াচ্ছিল এঙ্গেলব্রেখট ও বিক্রমজিতের জুটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন তারা। অবশেষে এই জুটি ভাঙা গেছে। বোলিং এসেই বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার স্পিনে খেই হারিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেছেন বিক্রমজিত।
মাহমুদউল্লাহর বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ডাচ ব্যাটার। তবে বল তার ব্যাটে না লাগলে স্টাম্পিং করতে কোনও অসুবিধা হয়নি লিটন দাসের। ফেরার আগে বিক্রমজিত ১৬ বলে ৩ ছক্কায় করেন ২৬ রান।
১১:১৩- খরুচে রিশাদ
ছক্কা হজম করে বোলিং শুরু করলেন রিশাদ হোসেন। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন তিনি। তার প্রথম ডেলিভারি সীমানার ওপার পাঠিয়েছেন বিক্রমজিত সিং। পরে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট মেরেছেন বাউন্ডারি। সব মিলিয়ে রিশাদের প্রথম ওভারে খরচ ১৪ রান।
১১:০১- তানজিমের প্রথম উইকেট
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বারুদে বোলিং করেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও জ্বলে উঠেছেন ডানহাতি পেসার। ম্যাক্স ও’ডাউডকে আউট করে পেয়েছেন প্রথম উইকেট।
নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন ডাচ ওপেনারকে। তানজিমের স্লোয়ারে খেই হারিয়ে ১৬ বলে ১২ রান করে আউট হয়েছৈন ও’ডাউড। পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৬।
১০:৫৪- তাসকিনের উইকেট
বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দিলেন তাসকিন। এই পেসার তার প্রথম ওভারেই উইকেটের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। সেবার না পারলেও দ্বিতীয় ওভারে পেয়েছেন উইকেট। আউট করেছেন ডাচ ওপেনার মাইকেল লেভিটকে।
এই লেভিটের বিপক্ষেই কট বিহাইন্ডের জোরাল আবেদন উঠেছিল। বোলার ছিলেন তাসকিন। সেবার সফল না হলেও পরের ওভারে ডাচ ওপেনার তারই শিকার। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বল লেভিটের ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন হৃদয়। ফেরার আগে ডাচ ওপেনার ১৬ বলে করেন ১৮ রান।
১০:৪৯- রান আউটের সুযোগ
তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এলেন তাসকিন আহমেদ। তার প্রথম বলেই উঠল কট বিহাইন্ডের জোরাল আবেদন। তবে আম্পায়ার সাড়া দেননি। পরের বলেই ছক্কা হাঁকালেন লেভিট।
তৃতীয় বলে আবারও আউটের সম্ভাবনা। বল মিড-অফে ঠেলে দিয়ে রান নেওয়ার জন্য দৌঁড়েছিলেন লেভিট। বল ধরে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভেঙে দেন জাকের আলি। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত করার একটু আগে পৌঁছে গেছেন লেভিট।
১০:৩৬- নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শুরু
বাংলাদেশের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে নেদারল্যান্ডস। ইনিংস শুরু করেছেন দুই ওপেনার মাইকেল লেভিট ও ম্যাক্স ও’ডাউড।
১০:২৫- সাকিব-ঝলকে বাংলাদেশের ১৫৯
ব্যর্থতা ঝেরে ১৯ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার চমৎকার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশও পেয়েছে লড়াকু সংগ্রহ। বাঁহাতি ব্যাটারকে আউটই করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। দলকে বিপদ থেকে টেনে তুলে খেলেছেন অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯ বাউন্ডারিতে। তার সঙ্গে জাকের আলি ইনিংস শেষ করেছেন অপরাজিত ১৪ রানে।
৩ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছিল অধিনায়ক শান্তর উইকেট। এরপর বিদায় নেন লিটন। চাপে পড়া দলকে উদ্ধার করে সাকিব-তানজিদের ৪৮ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের ৪১ রানের জুটিটাও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে সফল বোলার আরিয়ান দত্ত। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পল ফন মিকেরেনও পেয়েছেন ২ উইকেট।
১০:২১- জাকেরের তিন বাউন্ডারি
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হতাশ করেছেন জাকের আলি। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝলক দেখালেন তিনি। ১৯তম ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। ফন বেকের করা এই ওভারের শেষ চার বলের তিনটি সীমানাছাড়া করেন তিনি। বাংলাদেশ পায় ১৪ রান।
১০:১৪- ক্যাচ আউট মাহমুদউল্লাহ
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। বাউন্ডারি লাইনের কাছে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন এই ব্যাটার।
ফন বিকের আগের ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এই পেসারের পরের ওভারেই আউট তিনি। সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের আরেকটি চমৎকার ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ২১ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৫ রান।
১০:১৩- সাকিবের ফিফটি
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সাকিব। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তার ব্যাটে রান ছিল না। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শুধু রানেই ফিরলেন না, পেলেন টি-টোয়েন্টির ১৩তম হাফসেঞ্চুরি। ১৯ ইনিংস পর এই ফরম্যাটে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন এই অলরাউন্ডার। ৩৮ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
১০:১১- ১৭তম ওভারে ১৬ রান
আগের ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারেও গ্যালারিতে বল ফেললেন তিনি। তৃতীয় বলের ছক্কা হাঁকানোর পরই আবার চার এসেছে তার ব্যাট থেকে। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রিঙ্গেলের এই ওভার থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৬ রান।
১০:০৭- মাহমুদউল্লাহর ছক্কা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছক্কাটা হলেই জিতে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর শট একেবারে বাউন্ডারির সামনে থেকে লাফিয়ে ক্যাচ নিয়েছিলেন এইডেন মারক্রাম। সেদিন না পারলেও ডাচদের বিপক্ষে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ।
১৬তম ওভারের শেষ বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তিনি। ফন বিকের ওই ওভার থেকে এসেছে ৭ রান।
৯:৫৮- বাংলাদেশের ১০০
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জায়গা থেকে দলকে টেনে তুলে ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছেন সাকিব। বাঁহাতি ব্যাটারের ঝলকে ১৪ ওভারে ১০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।
৯:৫২- হৃদয় আউট
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ এই ব্যাটার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন হৃদয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও হেসেছিল তার ব্যাট। তবে ডাচদের বিপক্ষে ১৫ বলে মাত্র ৯ রানে বিদায় নিয়েছেন তিনি। আউটও হয়েছেন দৃষ্টিকটু ভাবে।
বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গেলের বল স্টাম্প ছেড়ে কাট করতে চেয়েছিলেন হৃদয়। কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি। ফল, বল সরাসরি আঘাত করে স্টাম্পে। তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৮৯।
৯:৪৯- সাকিবের ব্যাটে রান
চোট ও চোখের সমস্যার কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন সাকিব। ফেরার পর ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হাসছিল না তার ব্যাট। অবশেষে রানে ফিরেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
আগের দুই ম্যাচে তার ইনিংস ছিল যথাক্রমে ৮ ও ৩ রানে। ওই ব্যর্থতা কাটিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরির পথে তিনি।
৯:৩৩- তানজিদ আউট
দারুণ শুরু পেয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা কাটিয়ে নতুন কিছুর আশা দেখাচ্ছিল তার ব্যাট। তবে ভালো শুরুটা কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। ক্যাচ আউটে ফিরেছেন ৩৫ রানে। ২৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা। তার বিদায়ে বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট।
নবম ওভারে বোলিং এসেছিলেন পল ফন মিকেরেন। তার তৃতীয় ডেলিভারি পুল করেছিলেন তানজিদ। বাতাসের বিপরীতে নেওয়া শট ওপরে উঠে যায়। সেটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নেন বাস ডি লিডি।
৯:৩১- আরিয়ানের ঝলক
দুই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন আরিয়ান দত্ত। তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও তার স্পিনে সুবিধা করতে পারছে না বাংলাদেশ। অবশ্য আরিয়ানের বল সমীহ করছেন সাকিব ও তানজিদ। তার তৃতীয় ওভারে এসেছে মাত্র ৪ রান।
৯:২১- এক ওভারে ৪ বাউন্ডারি সাকিবের
সাকিবের ব্যাট জ্বলে উঠেছে। এক ওভারে মারলেন ৪ বাউন্ডারি। ষষ্ঠ ওভারে বোলিং এসেছিলেন লোগান ফন ভিক। সাকিব চার মেরে শুরু করেন তার ওভার। এক বল পর আবারও বাউন্ডারি। এরপর শেষ দুই বলে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকালে এই ওভার থেকে আসে ১৯ রান।
তাতে পাওয়ার প্লে দারুণ কাটাল বাংলাদেশের। শুরুতে দুটি উইকেট হারালেও ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান জমা করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
৯:০৮- লিটনও ফিরলেন
একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছেন আরিয়ান দত্ত। নাজমুল হোসেন শান্তর পর লিটন দাসকেও আউট করেছেন এই স্পিনার।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আরিয়ানের বল সুইপ করেছিলেন তিনি। বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায়। ভেসে আসা বল অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে তালুবন্দি করেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট।
৯:০৬- তৃতীয় ওভারে ১৮ রান
তানজিদ হাসান তামিম দেখেশুনে শুরু করেছিলেন। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে হাত খুলে খেলছেন এই ওপেনার। ভিভিয়ান কিঙ্গমার করা তৃতীয় ওভারে তিনি নিয়েছেন ১৮ রান। দুই চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কা। বাংলাদেশের রান ছিল তখন ৩ ওভারে ১ উইকেটে ২৩।
৮:৫৪- বাজে শটে শান্ত আউট
শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছিলেন, তার রান করা প্রয়োজন। কিন্তু অহেতুক শট খেলে দলকে বিপদে ফেলে এলেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে যে রান খরা চলছে, সেটি ডাচদের বিপক্ষেও কাটাতে পারলেন না বাঁহাতি ব্যাটার। ওপেনিংয়ে নেমে ৩ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
৮:৪৫- টস জিতেছে নেদারল্যান্ডস
বাংলাদেশ টস হেরেছে। টস জয়ী নেদারল্যান্ডস ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে প্রথমে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে একাদশ কোনও পরিবর্তন নেই বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের ম্যাচের একাদশেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে ডাচরা একাদশে বদল এনেছে। তেজা নিদামানুরুর জায়গায় এসেছেন আরিয়ান দত্ত।
বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব।
নেদারল্যান্ডস একাদশ : স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), বাস ডি লিডি, আরিয়ান দত্ত, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, ভিভিয়ান কিঙ্গমা, ম্যাক্স ও’ডাউড, টিম প্রিঙ্গেল, লোগান ফন ভিক, পল ফন মিকেরেন, বিক্রমজিত সিং, মাইকেল লেভিট।
৮:২১- রাত সাড়ে ৮টায় টস
অবশেষে পাওয়া গেল সুখবর। বৃষ্টির কারণে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল খেলা নিয়ে, সেটি কেটে গেছে। নির্ধারিত সময়ে না হলেও একটু দেরিতে হচ্ছে টস। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮ টায় হবে টস। আর খেলা শুরু হবে ৮-৪৫ মিনিটে।
৮:০০- বৃষ্টিতে টস হতে দেরি
ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে হয়নি টস।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কিংসটাউনের আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শেষ মুহূর্তে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। সুপার এইটে যেতে হলে ডাচদের হারানোর জরুরি। তবে বৃষ্টিতে নির্ধারিত সময়ে টস করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ব্যাটিং
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিও অনেকটা এমন ছিল। জিতলে সুপার এইট, নয়তো পথ কঠিন। সেই ভয় কাটিয়ে এখন সুপার এইটের পথ তৈরি করছে বাংলাদেশ। তবু একটু ভাবনা আছে। সেই ভাবনাটা নেদারল্যান্ডস ম্যাচ নিয়ে। এই ম্যাচ হারলে আবার কঠিন হবে সুপার এইটের পথ।
নেদারল্যান্ডস নিয়ে ভয় কাজ করতেই পারে বাংলাদেশের। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই দলটির সঙ্গে হারতে হয়েছিল কলকাতায়। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য আগের লড়াইয়ে (২০২২ বিশ্বকাপ) শেষ হাসি ছিল বাংলাদেশের।
২০২৩ বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২২৯ করেছিল ডাচরা। জবাবে ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরোনো রোগ এখনও বহন করে চলছে। টপঅর্ডারের রানখরায় বিশ্বকাপের আগে থেকেই খুঁড়িয়ে চলছে বাংলাদেশের রানের চাকা।