প্রতিযোগিতার নাম ইমার্জিং এশিয়া কাপ। জাতীয় দলের টুর্নামেন্ট নয় এটি। তবে বাংলাদেশের একাদশের দিকে তাকালে ‘এ’ দল নামে খেলা দলটি সেকথা বলবে না। কারণ একাদশের আটজনেরই বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। অথচ তাদের নিয়ে দল সাজিয়েও গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোনো গেল না। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ইমার্জিং কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৯ রানে হেরেছে আকবর আলীরা। টসজয়ী লঙ্কানরা আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ১৬১ রান। এই তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ করতে পারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে গেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। পারেনি বাংলাদেশ।
অবশ্য জয় দিয়ে ইমার্জিং কাপ শুরু করেছিল তাওহিদ হৃদয়-শামীম পাটোয়ারী-পারভেজ হোসেন ইমনদের নিয়ে সাজানো বাংলাদেশ। হংকংকে হারিয়েছিল ৫ উইকেটে। কিন্তু আফগানিস্তানের কাছে হেরে যাওয়ায় পথ কঠিন হয়ে যায়। আর শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ায় চূড়ান্ত বিদায় নিশ্চিত হয়।
উদ্বোধনী জুটিতে শক্ত ভিত পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫ ওভারে ৪০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার লাহিরু উদারা (৩৫) ও ইয়াশোধা লঙ্কা (২৩)। এরপর মিডল অর্ডারে প্রভান রত্নানায়েকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। এই ব্যাটার ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। এছাড়া শাহান আরাচচিগে করেন ৩০ রান।
বাংলাদেশের রিপন মন্ডল ও রেজাউর রহমান রাজা দুজনই নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও সাইফ হাসানের।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইমন যোগ করেন ৪১ রান। ঝড় তুলে ইমন মাত্র ১০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় খেলে যান ২৪ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পর ধাক্কাটা লাগে সাইফ মাঠ ছাড়লে। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে এই ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২০ বলে ২৯ রান করে।
দুই ওপেনারের ফেরার পর ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ নাইম (৮), হৃদয় (১২), আকবর (৯) ও শামীম (৪)। বাংলাদেশের রান ১৪২ পর্যন্ত গিয়েছে আবু হায়দারের ব্যাটে। তিনি ২৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে।
শ্রীলঙ্কার দুশান হেমন্ত ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।