অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে শুধু জিতলেই হতো না, মেলাতে হতো কঠিন সমীকরণ। বিষয়টি আগেই জানা ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সমীকরণ মেলাতে পারেনি। পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ৫ রানে।
আজ (শনিবার) সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ফলে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায়, ৩৮.১ ওভারে জিতলেই উঠে যাবে সেমিফাইনালে। ওভারপ্রতি রান দরকার ছিল চারের একটু বেশি। টি-টোয়েন্টির এই যুগে মোটেও কঠিন কাজ ছিল না যেটা।
কিন্তু সেই সহজ কাজটাই কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠা পাকিস্তান শেষ চারে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অন্য সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
যদিও রান তাড়ার শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ১৫ বলেই দলকে ২৬ রান এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার আশিকুর রহমান ও জিশান আলম। কিন্তু পাকিস্তানি পেসার উবায়েদ শাহর একটু লাফিয়ে ওঠা বলে জিশান আউট হন। তিনি ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপার সাদ বেগের হাতে। সেই শুরু। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন শিহাব জেমস। চৌধুরী রিজওয়ান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন। মূলত উবায়েদ শাহর পেসেই আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। উবায়েদ নিয়েছেন ৫ উইকেট। আলী রেজা ৩টি ও জিশান নিয়েছেন ১টি উইকেট।
এর আগে প্রথমে বল করে সেমিফাইনালের আশা বাড়িয়ে তোলে বাংলাদেশ। বেনোনির উইলোমুরে পার্কে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই কাঁপিয়ে দেয় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। নেপাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় রোহানাত দৌলা বর্ষণ এই ম্যাচেও জ্বলে উঠেছিলেন। এই পেসার ৮ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শেখ পারভেজ জীবনও দুর্দান্ত। ১০ ওভারে ২৪ রান খরচায় তিনিও পান ৪ উইকেট।
বর্ষণের পেস ও পারভেজের স্পিনে দিশেহারা পাকিস্তানের কোনও ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন আরাফাত মিনহাজ। ২৬ রান এসেছে ওপেনার শাহজাইব খানের ব্যাট থেকে।