সাদামাটাই ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। সারাদিন বল করে দক্ষিণ আফ্রিকার কেবল দুটি উইকেটই নিতে পেরেছেন তারা। তারপরও হতাশায় ভেঙে পড়ছেন না ফিল সিমন্স, ‘‘আমি হতাশ হয়েছি বলতে পারি না। বোলাররা পরিশ্রম করেছে আর ভালো বল করেছে। কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করেছি। নাহলে অন্যরকমও হতে পারত। হয়তো চারটা বা পাঁচটা (উইকেট পেতে পারতাম)। দিনটা কঠিন ছিল।’’
এমন ব্যাটিং উইকেটে ৫ জনের বদলে ৪ বোলার কেন, এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। ফিল সিমন্স বললেন, ‘‘৫ বোলার নিয়ে খেলার আলোচনা হয়েছিল আমাদের। আমরা এখন যেমন ব্যাটিং করছি, কখনও কখনও এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে নামতে হবে। যদি জয়ের মতো অবস্থায় না যাওয়ায় যায়, তখন অবশ্যই ম্যাচটি বাঁচাতে হবে। এত সহজেই টেস্টে হাল ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটিও ছিল ভাবনায়।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘কাল সকালে কয়েকটা উইকেট নিয়ে ওদের অলআউট করার মতো অবস্থায় যেতে হবে। এরপর আমরা যখন ব্যাটিংয়ে যাবো তখন আমরা কিছুদিন আগে হওয়া পাকিস্তান (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) টেস্টের কথা বলতে পারি। একটা দল ৫০০ করল, আরেকটা দল ৮০০ করে জিতল। আপনি সবার আগে ভাববেন কীভাবে টেস্ট জেতা যায়, এরপর অন্য কিছু।’’
মিরপুরে না খেলা জাকির হাসানকে পাঠানো হয়েছিল জাতীয় লিগ খেলতে। এরপর হঠাৎ তাকে সিলেট থেকে উড়িয়ে আনা হলো চট্টগ্রামে। দলে কোন মিস কমিউনিকেশন হচ্ছে না তো? এমন প্রশ্নে সিমন্স জানালেন, ‘‘সেটা কেন হবে? এই ম্যাচে ওকে দরকার হলে ওর কিছু সময় ব্যাটিংয়ের মধ্যে থাকা জরুরি ছিল। আমাদের একজনের কনকাশন হল (জাকের আলী), আরেকজন অসুস্থ হয়ে পড়ল (লিটন)। দুই জন ব্যাটার বাদ পড়ে গেল ম্যাচ শুরুর আগে। তাই মিস কমিউনিকেশনের কিছু নেই।’’
