Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
অনূর্ধ্ব-২০ সাফ

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আনন্দ বাংলাদেশের। ছবি: বাফুফে।
ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আনন্দ বাংলাদেশের। ছবি: বাফুফে।
[publishpress_authors_box]

চোট পেয়ে ৬৯ মিনিটে যখন মাঠ ছাড়েন প্রধান গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ, বাংলাদেশ এগিয়ে ১-০ গোলে। ততক্ষণে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু কে জানতো শ্রাবণের হাসপাতালে যাওয়ার পরপরই গোল খেয়ে বসবে বাংলাদেশ। কে জানতো শ্রাবণের বদলি হিসেবে মাঠে নামা দ্বিতীয় গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ হয়ে উঠবেন বাংলাদেশের জয়ের নায়ক।

নেপালের কাঠমান্ডু আনফা কমপ্লেক্সে সোমবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে সমতা। এরপর টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ৪-৩ গোলে হারায় ভারতকে। ভারতের দুই ফুটবলার থাঙগ্লাসুন গাংতি ও আকাশ তিরকির পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে ম্যাচ জয়ের বড় ভূমিকা রাখেন গোলরক্ষক আসিফ। আগামী ২৮ আগস্ট ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।   

গোলের পর আসাদুল মোল্লার উচ্ছ্বাস। কাঠমান্ডুতে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। ছবি: বাফুফে।

বয়সভিত্তিক সাফে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য ভারত। অনূর্ধ্ব-১৮ ও অনূর্ধ্ব-১৯ এর পর পরিবর্তিত সংস্করণে অনূর্ধ্ব-২০ সাল মিলিয়ে ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সর্বশেষ ২০২২ সালেও ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে হৃদয় ভাঙে বাংলাদেশের। কিন্তু সেই ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ওই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন মিরাজুল ইসলামরা।

ম্যাচের প্রথমার্ধ যদি হয় বাংলাদেশের তাহলে দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই খেলেছে ভারত। দুর্ভাগ্য তাদের। কখনও ভারতের ফরোয়ার্ডদের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ। কখনও সাইডপোস্টে লেগেছে বল। একবার তো শ্রাবণ জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এলে গোললাইন সেভ করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মোহসিন আহমেদ।

বাংলাদেশের আক্রমণের বড় অস্ত্র মিরাজুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুল বেশ কবার অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছেন। শুধু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় গোল পাচ্ছিলেন না তারা। কিন্তু ৩৫ মিনিটে দারুণ একটা আক্রমণে গোল পায় বাংলাদেশ। বক্সে ঢোকা রাহুলের ক্রস প্রথম দফায় ঠেকাতে পারেননি ভারতের গোলরক্ষক প্রিয়াংশু দুবে। তার হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বলে আলতো প্লেসিংয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন আসাদুল মোল্লা।  

গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত আসাদুল। ছবি: বাফুফে।

বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। একের পর এক ভারতের আক্রমণে জেরবার বাংলাদেশের রক্ষণ। ৫২ মিনিটে মঙ্গলেনথাং কিপগেন এর শট বার ঘেষে চলে যায়। এরপর ৫৪ মিনিটে শ্রাবণকে একা পেয়েও কোরু সিং বল পাঠালেন বাইরে । গাংতের শট পোস্টে লেগে ফেরে ৬৩ মিনিটে। এর ঠিক মিনিট তিনেক পর বক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শ্রাবণ। কিন্তু বল ততক্ষণে তার নাগালের বাইরে। ওই সময় গোললাইন সেভ করে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন মহসিন।

ভারতের ফুটবলারের সঙ্গে বল দখলের লড়াই বাংলাদেশের চন্দন রায়ের। ছবি: বাফুফে।

এরপর ৬৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন শ্রাবণ। বদলি মোহাম্মদ আসিফ মাঠে নামলে ৭৪ মিনিটে  ১-১ করে ভারত। সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল বক্সের মধ্যেই ঘুরছিল। জটলা থেকে ভারতের গোল করেন অধিনায়ক রিকি মিতি হোবাম। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও কোনও দল গোল পায়নি। উল্টো যোগ হওয়া সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার কামাচি মারমা।

এরপর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। বাংলাদেশের পিয়াস নোভা, মইনুল ইসলাম, শাকিল তপু ও আশরাফুল আসিফ ঠান্ডা মাথায় বল জড়িয়েছেন জালে। কিন্তু ভারতের দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আসিফ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত