শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট বাঁচানো এখন প্রায় অসম্ভব। ২-০তে সিরিজ হারের চোখরাঙানি। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামরা ম্যাচটিকে বড়জোর একটু বেশি সময় পর্যন্ত টানতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল হক স্বীকার করলেন, চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে সব ব্যাটার ভালো শুরু পেয়ে তা প্রমাণও করেছেন। তারপরও এমন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ‘অনভিজ্ঞতা’ ও ঘরোয়া লিগের মানকে সামনে আনলেন সাবেক অধিনায়ক।
সাকিব-মুমিনুল-লিটন-মিরাজ ছাড়া দলের বাকি ব্যাটাররা সবাই টেস্টে নতুন। জাতীয় লিগে নিয়মিত খেললেও টেস্টের চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। মুমিনুলের মতে, টেস্টের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টেস্ট খেলেই অর্জন করতে হবে, প্রথম শ্রেণি ম্যাচ খেলে সম্ভব নয়।
জাতীয় লিগের সঙ্গে টেস্টের পার্থক্য বোঝাতে বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, “আমাদের প্রথম শ্রেণি ক্রিকেট আর টেস্ট খেলা কি একই পর্যায়ের? আমি ৬১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। আমি জানি টেস্ট ক্রিকেটে কখন কী করতে হয়। কিভাবে কোন পরিস্থিতি সামলাতে হয়। আমি কখনও সফল হই আবার হই না। কিন্তু একজন তরুণ ক্রিকেটারের জন্য এরকম পর্যায়ে এসে পরিস্থিতি সামলানো বা পারফর্ম করতে সময় দিতে হবে।”
মুমিনুল আরও স্পষ্ট করে বাংলাদেশের জাতীয় লিগের মান নিয়েই প্রশ্ন তুললেন, “শুনতে খারাপ লাগবে আমাদের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণি আর টেস্ট খেলা আকাশ-পাতাল তফাৎ। আমি নিজেও জাতীয় লিগে খেলি কিন্তু সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি না। যে চ্যালেঞ্জটা টেস্টে পড়তে হয়। আমার কথা হয়তো একটু লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছে তবে এটাই সত্যি। এই দলের তরুণরা সবাই টেস্টের জন্য নিবেদিত। ওরা প্রথম শ্রেণিতে খেলে কিন্তু টেস্টের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলেই হবে।”
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট ড্র করতে হলে পঞ্চম দিন পুরোটা সময় ব্যাট করতে হবে স্বাগতিকদের। মুমিনুল স্বীকারোক্তি, তা এখন আর সম্ভব নয়। তবে উইকেট একটু কম পড়লে সম্ভব হতো।
সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট বাঁচানো প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেছেন, “এখন তো অনেক কঠিন। যেকোনও দিক থেকেই কঠিন। যদি আজকে আমাদের ৪ উইকেটে এই রানটা থাকতো তাহলে বলতে পারতাম যে আগামীকাল (বুধবার) পুরো দিন খেলার একটা আশা আছে। কারণ ৪ উইকেট থাকলে আমাদের দুজন সেট ব্যাটার ক্রিজে থাকতেন, আরও দুজন স্পেশালিস্ট ব্যাটার অপেক্ষায় থাকতেন। তখন হয়তো এক সেশন এক সেশন করে আমরা পরিকল্পনা করতে পারতাম। কিন্তু এখন ম্যাচে ফেরা খুবই কঠিন। আমি আশা দেখালেও কঠিন।”