Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

২০০ রানও করতে পারল না বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: টুইটার
ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

প্রথম দিনের শেষবেলাতেই শঙ্কার মেঘ জমেছিল। দ্বিতীয় দিনেও কাটল না সেই মেঘ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরেকবার টেস্ট ক্রিকেটে সামর্থ্যের জায়গায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে নিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তরা।

শনিবার (২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনেও শোচনীয় অবস্থায় বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮৮ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ৯২ রানের লিড নিয়ে শুরু করেছে দ্বিতীয় ইনিংস। সফরকারীদের শুরুটা স্বস্তির হয়নি। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতির আগে আউট হয়েছেন নিশান মাদুশা। সে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৯। লিড ১১১ রানের।

“পিচে কোনও ভূত নেই”- আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ পল অ্যাডামস এমনটাই বলছিলেন। তার এই কথা সত্যি প্রমাণ করেছেন তাইজুল ইসলাম। স্পিনার হলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন- এই পিচে কিভাবে ব্যাট করতে হয়।

শুক্রবার নাইটওয়াচম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছিলেন তাইজুল। কঠিন সময় পার করে সকালেও ছিলেন দারুণ। খেলেছেন দলের সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস। তার এই ইনিংসটা বাদ দিলে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা আরও খারাপ দেখায়। কেউই কিছু করতে পারেননি।

সিলেটের উইকেট সত্যিকার অর্থেই স্পোর্টিং। মিরপুরের মতো অসম বাউন্স নেই। ভালো উইকেটে পেসাররা এক্সট্রা বাউন্স আদায় করছেন। যে সুবিধা পেয়েছিল বাংলাদেশ পেসাররাও। এই এক্সট্রা বাউন্স হয়ে ওঠা বলগুলোতেই পরাস্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা।

তাইজুলের সঙ্গে দিন শুরু করা মাহমুদুল হাসান জয়ের কথাই ধরা যাক। গুডলেন্থে থাকা বলগুলোকে ফ্রন্টফুটে খেলতে গিয়েই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন জয়। শাদাহাত হোসেনও আউট একইভাবে। শুক্রবারের শেষ বিকেল ও শনিবারের সকালের অনেকটা অংশ সতর্কভাবে কাটিয়ে দিলেও রক্ষা হয়নি। ১২ রান করে এই ওপেনার বিদায় নেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।

জয়ের চেয়েও একটু স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন শাহাদত। মাঝব্যাটে তিনটি চার মেরেছেন, বাকি রানও এসেছিল মাঝব্যাট থেকে। দারুণ খেলে ২৬ বলে ১৮ রান করে ইনিংসের শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু এই তরুণও পা দিলেন অফ স্টাম্পের বাইরের বলের ফাঁদে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত বছর টেস্ট সিরিজে দারুণ করা লিটন দাস উইকেটে এসেই দারুণ সব শট খেলছিলেন। ওয়ানডে সিরিজের বাজে ফর্ম দূর করে ভালো সময় পাওয়ার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু মনসংযোগের ভুল লিটনের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসের ইতি টানলো। লাহিরু কমারার একটি ইনসুইংগার বুঝতেই পারেননি। সুবাদে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল স্টাম্পে। ৪৩ বলে ৪ চারে ২৫ রানে ঠিক লাঞ্চের আগেই ফেরেন লিটন।

তার বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ‘ব্যাটার’ হতে ওঠা তাইজুল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও  হাফসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৮০ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে। খানিক পর মিরাজও (১১) একই পথে হাঁটেন। এরপর খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের ব্যাটে বাংলাদেশের রান ২০০ পেরোনোর আশা জাগে। যদিও হয়নি। খালেদ ২২ রানে ও শরিফুল আউট হন ১৫ রানে।

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার বিশ্ব ফার্নান্ডো। এই পেসার ৪৮ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত