‘টোটালি ফেল’ করেছে বাংলাদেশ

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার ছয় ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করেছেন। দুজন গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। সঙ্গী থাকলে হয়তো তিন ইনিংসেই সেঞ্চুরির কীর্তি গড়তে পারতেন কামিন্দু মেন্ডিস। অথচ একই পিচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কী করুণ কাহিনী! এক জাকির হাসান ছাড়া কারও ফিফটি নেই। সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ওপেনারের “আমরা টোটালি ফেল করেছি”- এমন সরল স্বীকারোক্তি ছাড়া আর কী-ইবা করার ছিল।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। সফরকারীদের ব্যাটিং দেখে আশা জাগাই স্বাভাবিক- বাংলাদেশের ব্যাটাররাও দাপট দেখাবেন। কিন্তু বাস্তবতা দেখাল ভয়ঙ্কর চিত্র। আরেকবার টেস্ট দক্ষতার ওপর প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়ে ব্যর্থতার অতলে ডুবল নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসেই একরকম শেষ হয়ে গেছে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা।

শুধু এই টেস্ট নয়, সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসের একটিতেও ২০০ রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। যে উইকেটে শ্রীলঙ্কার দাপট, সেখানে কেন ব্যর্থ বাংলাদেশ? সোমবার (১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকির হতাশভরা কণ্ঠে বললেন, “আসলে কারণটা আর কী বলব… আমরা টোটালি ফেল করেছি। আমরা কেউ সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের যে রোলটা ছিল, সেটা পালন করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের যেরকম খেলার কথা ছিল, হয়তো আমরা ওইরকম খেলতে পারিনি।”

“আসলে কারণটা আর কী বলব… আমরা টোটালি ফেল করেছি। আমরা কেউ সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি।”

– জাকির হাসান, ওপেনার

শান্ত-সাকিবদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চমৎকার বোলিংয়ে তৃতীয় দিন শেষে সফরকারীরা ১০২ রান তুলতে হারিয়েছে ৬ উইকেট। এরপরও লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ রানে।

বোলাররা ভালো করছেন, কিন্তু বাজে ব্যাটিংয়ে তাদের চেষ্টা কাজে লাগছে না। জাকিরের উপলব্ধি, “টেস্ট বা যেকোনও ম্যাচ জিততে হলে শুধু বোলাররা ভালো বল করলে হবে না। আমাদের সব বিভাগে ভালো করতে হবে। বোলিং ফিল্ডিং ইভেন ব্যাটিং। ব্যাটিং তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি স্কোরবোর্ডে রান দিতে না পারি, আমরা কখনোই ডিফেন্ড করতে পারব না। ২০ উইকেট নিতে হলেও কিন্তু ওইরকম একটা রান দিতে হয়। আমরা ওটা পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু কেন জানি সবাই ফেল করছি।”

দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরার পথে দুর্দান্ত বল করেছেন হাসান মাহমুদ। অভিষিক্ত পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার প্রশংসা ঝরল জাকিরের কণ্ঠে, “ও খুবই ভালো বোলিং করছে। ওর অভিষেক ম্যাচ। আপনারাও দেখতে পেরেছেন যে, ও খুব ভালো মুভমেন্ট পেয়েছে। ভালো জায়গায় বল করেছে, ভালো লেগেছে।”