বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে। এ মূল্যায়ন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ)।
আরএসএফের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের ২০২৪ সংস্করণের তালিকায় মোট ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১৬৩।
এবার দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ কেবল আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। সূচকের মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে, যা গত বছর ছিল ৩৫ দশমিক ৩১।
২০২২ সালে ৩৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট দেওয়া হয় বাংলাদেশকে, অবস্থান ছিল ১৬২তম। আর ২০২১ সালে দেওয়া হয় ৫০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট, অবস্থান ছিল ১৫২তম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এবার দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটির অবস্থান ৭৪তম। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ; ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি রয়েছে ১০৬তম অবস্থানে।
এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম।
গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত।
আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।
সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে আরএসএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তান।
বৈশ্বিক মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নরওয়ে; পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।
এই সূচকে আরএসএফ বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করে। এই সূচক মূল্যায়নে বিবেচনায় নেওয়া পাঁচটি বিষয় হলো—রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা। এ বছর এই সূচকের বৈশ্বিক গড় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
