চার গ্রুপের সেরা দুটি করে দল পাবে বিশ্বকাপ সুপার এইটের টিকিট। অঙ্কটা সহজই হওয়ার কথা। কিন্তু সহজ সেই অঙ্কটা আগে থেকে জটিল করে রেখেছে আইসিসি। এই জটিল নিয়মের কারণে গ্রুপ ‘বি’তে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হলেও তারা এই গ্রুপের ১ নম্বর দল হয়ে সুপার এইটে যেতে পারছে না! তারা হয়ে যাচ্ছে ‘বি-২’। কীভাবে?
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে চার গ্রুপের সেরা আট দলের সিডিং করে রেখেছে আইসিসি। এটা শুধু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, সেই ২০০৭ সাল থেকেই চলে আসছে একই নিয়ম। এবার র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এ-১ ভারত, এ-২ পাকিস্তান, বি-১ ইংল্যান্ড, বি-২ অস্ট্রেলিয়া, সি-১ নিউজিল্যান্ড, সি-২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ডি-১ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ডি-২ শ্রীলঙ্কা।
সুপার এইটের গ্রুপ-১’এ থাকবে এ-১, বি-২, সি-১, ডি-২। আর গ্রুপ-২’এ থাকবে এ-২, বি-১, সি-২, ডি-১। এখন বাংলাদেশ যদি গ্রুপ ‘ডি’ থেকে সুপার এইটে যায় তাহলে কি হবে? বাংলাদেশ তো আইসিসির সিডিং-এ নেই। সেক্ষেত্রে অঙ্কটা হল প্রতি গ্রুপ থেকে যে বাছাই দল সুপার এইটে যেতে পারবে না, তাদের জায়গা নিবে অবাছাই হয়ে যাওয়া দল।
গ্রুপ ‘ডি’ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে গেছে সুপার এইটের টিকিট। পরের দল হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাই বেশি। বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে নিবে শ্রীলঙ্কার ডি-২ স্থানটা। সেক্ষেত্রে সুপার এইটে বাংলাদেশ খেলবে গ্রুপ-১’এ।
সেখানে ভারত জায়গা নিশ্চিত করেছে আগে থেকে। গ্রুপ ‘বি’ থেকে অস্ট্রেলিয়াও চলে গেছে সুপার এইটে। তারা নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলেও আইসিসির নিয়মে অস্ট্রেলিয়া সুপার এইটে খেলবে বি-২ হিসেবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রেলিয়াও। বাকি দলটা সি-১। গ্রুপ ‘সি’র এক নম্বর সিডিং নিউজিল্যান্ড। তারা টানা দুই ম্যাচ হেরে বাদ পড়ার অপেক্ষায়। কিউইরা বাদ পড়লে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেও সি-১ হবে আফগানিস্তান, উগান্ডা বা পিএনজি।
তাই বাংলাদেশ সুপার এইটের টিকিট পেলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা নিশ্চিত। অপর দলটি হবে আফগানিস্তান, উগান্ডা বা পিএনজি। পয়েন্ট ও রান রেটে এগিয়ে থাকায় সম্ভাবনা বেশি আফগানিস্তানেরই।