Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

বিশ্বকাপ দলে কেন এই ‘১৫’

বাংলাদেশ-১৫
[publishpress_authors_box]

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় ম্যাচ দুটি যুক্তরাষ্ট্রে। খেলবে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টে খেলবে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে। তাই দলগুলোকে উইন্ডিজের কন্ডিশন নিয়েই ভাবতে হচ্ছে বেশি। বাংলাদেশও একই পথে।

উইন্ডিজের কন্ডিশন স্পিনারদের সুবিধা দিয়ে থাকে বেশি। সেই চিন্তা থেকেই ভারত দলে চার পরীক্ষিত স্পিনার রেখেছে। আছেন দুজন পরীক্ষিত পেসারের পাশাপাশি একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। বাংলাদেশেরও ঠিক একই অবস্থা। সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলাম আছেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে। চার পরীক্ষিত পেসার হিসেবে আছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন সৌম্য সরকার। দলের বাকি সদস্যরা ব্যাটার।

ভারত ও বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্পিনার নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড তিনজন করে স্পিনার রেখেছে দলে। দক্ষিণ আফ্রিকা চার পেসারের পাশাপাশি তিন স্পিনার রেখেছে। শ্রীলঙ্কা দলেও পেসারদের আধিক্য।

সেদিক থেকে বাংলাদেশ দলে ভারতের মতোই বৈচিত্র্য আছে। দল নির্বাচনে একজন বাড়তি স্পিনার রাখা হবে কিনা তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বেশি বলে জানান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, “চিন্তায় ছিল তিনজন ওপেনার থাকবে, মিডল অর্ডারের জন্য পাঁচজন ব্যাটার, উইকেটকিপার ব্যাটারসহ। সিম বোলারের জন্য চারজনকে চিন্তা করেছি। তিনজন স্পিনার রেখেছি এবং চতুর্থ স্পিনার রাখব কিনা সেটা নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি।”

ব্যাকআপ স্পিনার রাখার ভাবনাতেই দলে সুযোগ পেয়ে গেছেন তানভীর ইসলাম। গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, “আমরা দেখেছি আমাদের প্রতিপক্ষদের মধ্যে কোন দলের প্যাটার্ন কেমন। কোন দলে ডানহাতি বা বামহাতি বেশি সেটা দেখতে হয়েছে এবং যে মাঠগুলোতে খেলব সেখানে দেখা গেছে স্পিনারদের কার্যকর হওয়ার সুযোগ বেশি। তো আমাদের দলে যে লেগ স্পিনার আছেন তিনি যদি কোন কারণে ওই দিনে ব্যর্থ হন তখন যেন আমাদের স্পিনের দিক থেকে একটা অপশন থাকে, বা পরিকল্পনা প্রস্তত থাকে। আমরা চেয়েছি আমাদের স্পিনে অভিজ্ঞ কেউ আছে কিনা সেদিক থেকে স্পিনে খুব একটা বিকল্প ছিল না, তাই তানভীর আলোচনায় চলে আসেন।”

দল নির্বাচনে একজন ডানহাতি ওপেনারের ভাবনায় এনামুল হক বিজয়ও চলে এসেছিলেন বিশ্বকাপ আলোচনায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন বোলার বেশি নেওয়ার পক্ষেই ছিলেন নির্বাচকরা। এই সুযোগে অফফর্মে থাকা লিটন বড় সুযোগ পেয়ে গেলেন।

প্রধান নির্বাচক এখন লিটনের রানে ফেরার আশা করছেন, “লিটন তো শুধু ব্যাটার না উইকেটকিপারও। তার ব্যাকআপ নিতে হলে তো একজন উইকেটকিপার ব্যাটার লাগবে। বিকল্প ওপেনার হিসেবে এনামুল হক বিজয়ের নামও চিন্তা করেছি। যেহেতু এই মুহূর্তে ওকে নেওয়া সম্ভব না তাই ফর্মের ঘাটতির পরও আমরা লিটনের ওপর আস্থা রেখেছি। ওকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, কিভাবে সে অফ ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। শট সিলেকশনের ক্ষেত্রে লিটনকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।”

ফর্মের দিক থেকে ব্যাটারদের নিয়েই বেশি চিন্তা। এই দুশ্চিন্তা প্রকাশের পরও গাজী আশরাফ টুর্নামেন্টে প্রথম রাউন্ড পার করার স্বপ্ন দেখছেন। প্রথম রাউন্ডে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই জিততে চান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ কঠিন হলেও আশা রাখছেন জেতার। সব মিলিয়ে গত বিশ্বকাপ থেকে ভালো করার স্বপ্ন প্রধান নির্বাচকের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত