টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশের কেমন ভরাডুবি হয়, সেই আশঙ্কার চোখরাঙানি ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপে চমৎকার পারফরম্যান্সে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য ছিল সুপার এইট। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে এই রাউন্ডে পৌঁছে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এখন সুপার এইট থেকে যা আসবে, সেটাই ‘বোনাস’। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এই বোনাসটাই নিতে চাইছেন।
সুপার এইটে গ্রুপ-১-এ রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান। তিন প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বোনাস তুলে নেওয়ার আশা বাংলাদেশের। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেছেন, “এই টুর্নামেন্টে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সুপার এইটে ওঠা। আমরা সেটা অর্জন করতে পেরেছি, বোলাররা আমাদের টিকিয়ে রেখেছে। আমরা কন্ডিশন বুঝে খেলেছি, কন্ডিশনকে নিজেদের পক্ষে ব্যবহারও করতে পেরেছি।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “এখানে (সুপার এইট) আসতে পেরে আমরা খুব খুশি। আর এখান থেকে যেকোনও প্রাপ্তিই হবে বোনাস। তাই আমরা বেশ স্বাধীন হয়ে খেলতে পারব। (প্রতিপক্ষ) তিন দলকে যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।”
বাংলাদেশের সুপার এইট পর্ব শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২০ জুন) সকালে অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে দল দুটি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী, এমন প্রশ্নে হাথুরুসিংহে বলেছেন, “পরিকল্পনা অন্য সব দলের মতোই। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে শক্তিশালী শুরু করতে চাই। তবে অনেক জায়গাতে পিচ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে ব্যাটারদের জন্য। পিচের চরিত্র বোঝাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”