Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্ট

চট্টগ্রাম এবার কি হাসি ফোটাবে

Shanto
[publishpress_authors_box]

অনায়াসে জয়ের একটা ছক আঁকা ছিল। কিন্তু সিলেট যে বাংলাদেশ দলের থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। সেই প্রমাণ আরেকবার মিলেছে। এই মাঠে চার টেস্টে একটি জয় বাংলাদেশের। দুটি হার আবার জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই।

সিরিজের পরের টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রাম। দুঃখজনক হলেও সত্য, সিরিজে সমতা ফেরানোর যে আশা তা এই মাঠের জন্যই প্রশ্নের মুখে। ২০০৬ সাল থেকে এই মাঠে মোট ২৫টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় মাত্র দুটিতে, ড্র সাত ম্যাচে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লজ্জা এড়াতে হলে চট্টগ্রাম টেস্টে জিততেই হবে, ২৫ টেস্টে যেখানে মাত্র দুটি জয়ের সাফল্য, সেখানে এবার জয় কি আসবে?

চট্টগ্রাম বাংলাদেশ দলের মুখে হাসি ফোটাবে, যদি নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটে রান আসে। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ ব্যাটার পারফরম্যান্স আহামরি ভালো ছিল না। তাই জুটেছে হার। সুবাদে শান্তদের মাথায় পাহাড়সম চাপ। এই চাপ জয়ের একমাত্র পথ জিম্বাবুয়েকে হারানো। নয়তো প্রত্যাশা ভঙ্গের লজ্জার শেষ থাকবো না।

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারানোর ঐতিহাসিক আনন্দে ভেসেছিল বাংলাদেশ দল। এরপর উইন্ডিজেও তাদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করার সাফল্য। এমন কিছুর পর সাদা পোষাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার মেনে নিতে পারেনি ক্রিকেটপ্রেমীরা।

সামনের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যস্ততার আগে এই সিরিজকে নিজেদের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখেছিল সবাই। কিন্তু মাঠে হলো উল্টো। পুরোনো রোগ ব্যাটিং ব্যর্থতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেটে দ্বিতীয় টেস্ট হার হজম করতে হলো।

এবার সিরিজ হারের শঙ্কা ভয় দেখাচ্ছে। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হলেও ২০০১-০২ সালের পর জিম্বাবুয়ে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে ১-০তে টেস্ট সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসবে। গতবারও বাংলাদেশের মাটিতেই সিরিজ জিতেছিল তারা।

রান না করায় চাপে আছেন মুশফিক। ছবি : বিসিবি

ব্যাটিং ব্যর্থতার হতাশা ঢাকতে দ্বিতীয় টেস্টের দলে কিছু পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তন মতো একাদশেও বদল আসা অস্বাভাবিক নয়। বারবার ব্যর্থ ওপেনিং জুটিতে এই টেস্টে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। জয় বা সাদমান যে কোন একজনের পরিবর্তে খেলার সুযোগ আছে এনামুল হক বিজয়ের। এছাড়া নাহিদ রানা দলে না থাকায় তানজিম সাকিবের টেস্ট অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সিলেট টেস্টের তিনদিনে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির সময় ছিল সামান্যই। টেস্টের শেষ সেশন বাদ দিলে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের ওপর দাপট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। ব্লেসিং মুজারাবানির বোলিং ও ব্রায়ান বেনেটদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ।

সেই দুঃখ ভুলতে সিলেট টেস্টের শেষ সেশনটা ফেরাতে হবে চট্টগ্রাম টেস্টের পুরো ম্যাচেই। সিলেটে ওই শেষ অংশেই ড্রাইভিং সিটে ছিল বাংলাদেশ। তবে চট্টগ্রামে স্পিন পিচের অতীত খুব একটা নেই। ব্যাটিং নির্ভর পিচ-ই হয় সবসময়। যেখানে দুই দলের ব্যাটারদের সাফল্য দেখা যায বেশি।

এমন ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে মুশফিক-শান্ত-মুমিনুলদের ব্যাটে রান ফেরে কিনা সেটাই এখন দেখার। ফিরতেই হবে, না ফিরলে নানা জটিলতায় প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশের ক্রিকেট আরও ডুববে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত