Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

টেস্ট জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ

trophy 1
[publishpress_authors_box]

উইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ বাংলাদেশ আগেও পেয়েছে। অতীতের স্মৃতি এবারও ফিরবে। সঙ্গে যোগ হবে বড় অর্জনের আত্মবিশ্বাস। এবার উইন্ডিজে টেস্ট জিতে ওয়ানডেতে পা রাখার তৃপ্তি আছে। তাই ছোট ফরম্যাটের সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা বেশি।

স্বপ্ন জয়ের সারথীদের নামের তালিকা এবার ভিন্ন। বড় নামদের মধ্যে শুধু মাহমুদউল্লাহ এবার দলে আছেন। সাকিব আল হাসানের এই সিরিজে খেলার কথা ছিল কিন্তু নানা কারণে ব্যাটে বলে হয়নি। তামিম ইকবাল ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন অনেকদিন। মুশফিকুর রহিম ইনজুরিতে কাটা পড়েছেন।

সন্তানের বাবা হওয়ায় ছুটিতে মোস্তফিজুর রহমান। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও নেই ইনজুরির কারণে। আর কোন সময় হলে এমন দলকে নিয়ে ভালো কিছুর আশা করা যেতো না। কিন্তু এবার সবই ভিন্ন।

ওয়ানডে সিরিজেও গতির ঝড় তুলবেন নাহিদ। ছবি : বিসিবি

অভিজ্ঞদের ছাড়া বাংলাদেশ জ্যামাইকায় টেস্ট জিতেছে। প্রথমবার উইন্ডিজের পূর্ণ শক্তির দলকে তাদের মাটিতে হারানোর কৃতিত্ব নিয়ে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। সেই জয়ের রেশ টেনে আনা যাচ্ছে ওয়ানডেতে।

সেন্ট কিটসের বেসেটেরেতেও জয়ের সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। আর ওয়ানডেতে ভালো করার ট্যাগ আগে থেকেই লেগে আছে মেহেদি হাসান মিরাজদের গায়ে।

উইন্ডিজের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে সবশেষ চারটি ওয়ানডে সিরিজেই জিতেছে বাংলাদেশ। দুটি নিজেদের মাটিতে, দুটি উইন্ডিজে। সবশেষ পাঁচটি ওয়ানডেতেও বাংলাদেশ বাধা অতিক্রম করা হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। তাদের সবশেষ সিরিজ জয়ের স্মৃতি সেই ২০১৪ সালে। মাঝের সময়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের কাছ থেকে শুধুই হতাশা উপহার পেয়েছে উইন্ডিজ।

অনুশীলনে মনোযোগী টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার জাকের। ছবি : বিসিবি

সব ইতিবাচকতা সঙ্গে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মোক্ষম অনুশীলনে নামছে বাংলাদেশ। আইসিসির দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্টের আগে আর ওয়ানডে সিরিজ নেই। তাই ফেব্রুয়ারীর আসরের আগে নিজেদের হোমওয়ার্ক টুকে রাখার এটাই শেষ সুযোগ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শেষ সিরিজে ইতিবাচক ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি স্ট্যান্ডইন অধিনায়ক মিরাজ। ওয়ানডেতে নিকটঅতীতের ভালো ফর্ম ও পেসারদের দাপট মিরাজকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।

মিরাজ জানিয়েছেন, ‘আমাদের সামনে এখন ওয়ানডে সিরিজ, যে ফরম্যাটটা আমরা ভালোবাসি এবং ভালো খেলি। আমাদের বোলিং ইউনিটটা এখন বেশ ভালো। তবে কিছু জায়গাতে অবশ্যই উন্নতি করতে হবে। যেমন ব্যাটিংয়ে আমরা নিয়মিত ভুল করি। সেই ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ সিরিজে আমরা ভবিষ্যত টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে ভুল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো।”

ব্যাটিং ফরম্যাট বরাবরের মতো এ সিরিজেও দুশ্চিন্তার কারণ হবে বাংলাদেশের জন্য। টপঅর্ডারে এই ফরম্যাটে নিয়মিত রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত নেই। মুশফিকুর রহিমও নেই, তার জায়গায় সযোগ পেয়েছেন আফিফ হোসেন। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আফিফ যে ছন্দে আছেন সে কথাও জোড় দিয়ে বলা যাচ্ছে না।

ওপেনিংয়ে ভালো করার দায়িত্ব তামিমের। ছবি : বিসিবি

সৌম্যকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়। রংপুর রাইডার্সের হয়ে শনিবার বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। দলকে এনে দিয়েছেন শিরোপা। তবে সৌম্যর এমন বিধ্বংসী ইনিংস নিয়মিত দেখা যায় না। চিন্তাটা সেখানেই। মুশফিকের অভাব মেটাতে তার পজিশনে খেলবেন মিরাজ। সেক্ষেত্রে আফিফের প্রথম ম্যাচেই একাদশে থাকার সম্ভাবনা কম।

বোলিং বিভাগে দলে ফেরা তানজিম সাকিব, উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম করা নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুলরা বাংলাদেশ দলের মূল অস্ত্র। পাশাপাশি রিশাদ হোসেনের সঙ্গে নাসুম আহমেদের স্পিন উইন্ডিজ কন্ডিশনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ষষ্ঠ স্পিনার হিসেবে মিরাজ আছেন। বাংলাদেশ চাইলে চার পেসার নিয়েও একাদশ সাজাতে পারে।

বোলিং বিভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই বাংলাদেশের। চিন্তা শুধু ব্যাটারদের অধারাবাহিক ফর্ম। টেস্টে জাকের বাদে আর কেউই ভালো কিছু করতে পারেননি। আশা জাকেরের আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে যাক বাকি ব্যাটারদের মাঝে। এতে টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও ভালো কিছু আসবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত